ডিজিটাল ডেস্ক : ফের ভয়াবহ আকার নিচ্ছে কোভিড। এবার সংক্রমণের মাত্রা অনেক বেশি। তবে আপনি কোভিড আক্রান্ত কিনা সেটা বাড়িতে বসে খুব সহজেই নিজে একটি পরীক্ষা করে জেনে নিতে পারবেন। এই পরীক্ষার নাম র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট (RAT)। আপনার কাছের ওষুধের দোকান থেকে র্যাপিড অ্যান্টিজেন কিট কিনে এনে আপনি বাড়িতেই এই পরীক্ষা করতে পারবেন। অনেকেই হয়তো জানেন এই পরীক্ষা কিভাবে করতে হয়, তবে এখনো যারা জানেন না তাদের জন্য এই লেখা।
নীচে খুব সহজ ভাষায় বোঝাবার চেষ্টা করবো কি করে পরীক্ষাটি করবেন।
পরীক্ষা শুরুর আগে ভাল করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করতে হবে। যেখানে কিটের জিনিসগুলো রাখবেন সেই জায়গাটাও জীবাণুমুক্ত করে নেবেন।
এরপর শুকনো হাতে র্যাপিড অ্যান্টিজেন কিটটি কেটে প্যাকেট থেকে একে একে ভেতরে থাকা সামগ্রীগুলো বার করুন। সাধারণত এতে একটি তরল পূর্ণ টিউব, একটি নমুনা সংগ্রহের কাঠি, ব্যবহারের নিয়মাবলী, একটি পরীক্ষার কার্ড ও আবর্জনা ফেলার ব্যাগ থাকে।
এরপর তরল পূর্ণ টিউবটি প্লাস্টিক কেটে বার করে সেটিকে এক হাতে নিয়ে অল্প করে দু-একটি টোকা দিয়ে ভেতরের তরলটিকে ঝাঁকিয়ে নিন। এবার তার ঢাকনাটি খুলে নিন।
এরপর অন্য হাতে নমুনা সংগ্রহের কাঠিটি নিয়ে নিন। কাঠিটির যেদিককে কাগজের কভার রয়েছে সেদিকে চাপ দিয়ে কাঠিটি বার করুন। মনে রাখবেন, শ্লেষ্মা সংগ্রহের জন্য ব্যবহৃত শোষক দ্রব্যের টুকরোটিতে যেন হাত না লাগে।
এরপর ওই অংশটি সাবধানে নাকের ভিতরে ঢোকান। দুই থেকে চার সেন্টিমিটার নাকের ভিতরে প্রবেশ করান। যতক্ষন না বাধা পাচ্ছেন।
এরপর নাকের ভিতর বাধা অনুভব করলে ধীরে ধীরে কাঠিটিকে পাঁচ বার করে দুই নাকেই ঘুরিয়ে নিন, যাতে নাকের ভিতরের শ্লেষ্মা ওই নমুনা সংগ্রহের অংশটিতে ভালো করে লেগে যায়।
এরপর নমুনা সংগ্রহের কাঠিটি নাক থেকে বার করে অন্য হাতে রাখা তরলের টিউবটির মধ্যে ভরে দিন। কাঠিটি টিউবের নিচ পর্যন্ত নিয়ে গিয়ে কাঠিটি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ভালো করে নেড়ে নিন।
এরপর কাঠিটির ভেঙে ফেলা অংশে চাপ দিয়ে অতিরিক্ত অংশটি ভেঙে ফেলুন এবং নমুনা সংগ্রহের অংশটি সহ টিউবের ঢাকনাটি আটকে দিন।
এরপর টিউবে চাপ দিয়ে বড় দুই ফোঁটা তরল পরীক্ষার কার্ডের নির্দিষ্ট ছিদ্রে ফেলুন। তারপর ঘড়ি দেখে ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। দেখুন কার্ডে কয়টি দাগ দেখা যাচ্ছে।
যদি কার্ডে শুধু “সি” দাগটি দেখা যায় তা হলে পরীক্ষার ফল নেগেটিভ, কিন্তু “সি” ও “টি” দুটি দাগ দেখা যায় তাহলে বুঝতে হবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কোভিড আক্রান্ত।
