শিলিগুড়ি: মন্দিরের জমিতে হেলথ সেন্টার তৈরির পরিকল্পনা ঘিরে বিক্ষোভে ফুঁসছে শান্তিনগর এলাকাবাসী। অভিযোগ উঠেছে, শিলিগুড়ি পৌরনিগমের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রঞ্জন শীল শর্মার নির্দেশে বুধবার সকালে পৌরসভার বেশ কয়েকজন কর্মী মন্দির প্রাঙ্গণে জমি মাপজোক করতে গেলে তীব্র প্রতিবাদে বাধা দেন স্থানীয়রা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় শেষ পর্যন্ত ফিরে যেতে বাধ্য হন পৌরনিগমের কর্মীরা।

➡ এলাকাবাসীর দাবি, ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত শান্তিনগর মাতৃমন্দিরের জমি ধর্মীয় অনুভূতির সঙ্গে জড়িয়ে আছে। সেখানে কোনওভাবেই হেলথ সেন্টার তৈরি করতে দেওয়া হবে না।
➡ এক বছর আগেও একই চেষ্টা করা হয়েছিল, তখনও বিক্ষোভের মুখে পিছু হটতে হয়েছিল পৌরকর্মীদের। এবারও তার পুনরাবৃত্তি ঘটল।
➡ এই ওয়ার্ডের পাশেই ইতিমধ্যে একটি হেলথ সেন্টার রয়েছে। তাহলে নতুন করে আরেকটি হেলথ সেন্টার তৈরির প্রয়োজনীয়তা কী—এ প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী।
➡ স্থানীয়দের দাবি, যদি কোনও উন্নয়ন প্রকল্পই করতে হয়, তবে মন্দিরের পাশে নতুন মন্দির তৈরি হোক, হেলথ সেন্টার নয়।

এ বিষয়ে কাউন্সিলর রঞ্জন শীল শর্মা বলেন, “এটি পৌরনিগমের সিদ্ধান্ত, আমার একার নয়। তবুও এলাকাবাসীর মতামতকে সম্মান জানিয়ে কোনও কাজ জোর করে করা হবে না।”
মন্দির সংলগ্ন জমিতে হেলথ সেন্টার তৈরির পরিকল্পনা যে এলাকায় অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা বুধবারের ঘটনার পর আরও স্পষ্ট। এখন দেখার, শিলিগুড়ি পৌরনিগম এলাকাবাসীর আবেগকে সম্মান জানিয়ে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে, নাকি অন্য কোনও সমাধান খোঁজে।