রাহুল মন্ডল, মালদা : বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের বছরখানেক আগে থেকেই শুরু হলো হাত শিবিরের ভাঙ্গন। কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন চাঁচল-১ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ শাহজাহান আলম। খরবা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ইসলামপুর বুথে যোগদান সভার আয়োজন করা হয়।সেখানে চাঁচলের তৃণমূল বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষের হাত ধরে দলে যোগ দেন শাহজাহান। একইসঙ্গে খরবা গ্রাম পঞ্চায়তের প্রাক্তন প্রধান লতিফুর রহমান ও খরবা গ্রাম পঞ্চায়তের কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি হাজি জাহাঙ্গীর আলম সহ প্রায় শতাধিক কর্মী ও সমর্থক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তৃণমূলের এই যোগদান কে কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস। স্বার্থের লোভে ও ও সরকারি প্রকল্পের লোভ দেখিয়ে তাদেরকে জোরপূর্বক দলে আনা হয়েছে।

সোমবার সন্ধ্যায় চাঁচলের খরবাই ওই যোগদান শিবিরে তৃণমূলের পতাকা ধরেন খরবা পঞ্চায়েত প্রাক্তন প্রধান লতিফুর রহমানও।শূধু তাই নয়,খরবা অঞ্চলের কংগ্রেসের দাপুটে নেতা জাহাঙ্গীর আলমও দলবল নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন এদিন।প্রায় শতাধিক মানুষ কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছে বলে দাবি করেছেন চাঁচলের তৃণমূল বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ।
তৃণমূলে যোগদানকারি কংগ্রেসের কর্মাধ্যক্ষ শাহজাহান আলম জানান,স্ব ইচ্ছায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছি।মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর উন্নয়নে আপ্লুত হয়ে ঘাসফুলে পদার্পণ করলাম।

চাঁচলের বিধায়ক নীহার রঞ্জন ঘোষ বলেন,আমি সবেমাত্র চাঁচলে পা রেখেছি।তবে আমাকে ভালোবাসে সবাই কাছে আসছেন।উন্নয়ন সব গ্রামেই হচ্ছে।সবাই স্বইচ্ছায় যোগ দিচ্ছে। যদিও চাচোল 1 নম্বর ব্লকের কংগ্রেস সভাপতি আনজারুল হক এর অভিযোগ, প্রলোভনের ফাঁদে পা দিয়ে এই দল বদল হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের কোনো প্রভাব পড়বে না।
মিথ্যে মামলায় ভয় ও সরকারি প্রকল্পের লোভ দেখিয়ে কৃষি কর্মাধ্যক্ষ সহ শতাধিক কর্মীকে তৃণমূলে যোগদান করিয়েছে চাঁচোল বিধায়ক নিহার রঞ্জন ঘোষ। এ ব্যাপারে চাচোল 1 নং ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি আনোয়ারুল হক বলেন, বিধায়ক দাবি করছে হাজারখানেক কর্মী ও সমর্থক তৃণমূলে যোগদান করেছে তিনি দেখাতে পারবেন হাজারখানেক কর্মী সেখানে ছিল উপস্থিত?? আর যারা দল ছেড়ে গেছে তারা স্বার্থের লোভে গেছে। স্বার্থ ফুরিয়ে গেলে আবার কংগ্রেসে যোগদান করবে।