সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ২৭ ডিসেম্বর’২৩ : জলপাইগুড়ি ‘ভুয়ো’ নার্সিং প্রশিক্ষণ সেন্টারের কর্ণধার মূল অভিযুক্ত শান্তুনু শর্মাকে বুধবার আবার জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল জেলা আদালত। ১৪ দিন পর ১০ জানুয়ারি অভিযুক্তকে জেলা আদালতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে তোলা হবে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ‘ভুয়ো’ নার্সিং প্রশিক্ষণ সেন্টার খুলে অসংখ্য ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে। উল্লেখ্য ১৯ সেপ্টেম্বর জলপাইগুড়ি পান্ডা পাড়ার ভুয়ো নার্সিং সেন্টারে অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দিয়েছিল জেলা স্বাস্থ্য দফতর। এরপর সেন্টারের ছাত্রীরা প্রতারণার অভিযোগ জানায় কোতোয়ালি থানায়। এরপর থেকে অভিযুক্ত শান্তুনু পলাতক ছিল। ১৩ ডিসেম্বর শান্তুনু আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর পুলিশ দশদিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। ২৫ ডিসেম্বর পুলিশ হেফাজত থেকে শান্তুনুকে আদালতে তোলা হয়। অভিযুক্তের পক্ষের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেছিল। বিচারক জামিনের আবেদন নাকচ দুই দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ দিন বুধবার দুই দিন পর মূল অভিযুক্ত শান্তুনু শর্মাকে জেলা আদালতে তোলা হয়। এ দিন আবারও অভিযুক্তের আইনজীবী অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জামিনের আবেদন জানায় বিচারক জামিনের আবেদন নাকচ করে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশে দিয়েছেন বলে জানালেন সহকারী সরকারি আইনজীবী প্রদীপ চাট্যাজি। অন্যদিকে শান্তুনুর পক্ষের আইনজীবী উজ্জ্বল চক্রবর্তী বলেন, “জামিনের আবেদন করা হয়েছিল। জামিন নাকচ করেছেন বিচারক। দশ জানুয়ারি আবার জেলা আদালতে তোলা হবে।” জেলা পুলিশ সুপার খান্ডবাহালে উমেশ গনপত বলেন, ভুয়ো নার্সিং সেন্টার নিয়ে তদন্ত চলছে।”
