জলপাইগুড়ি : জলপাইগুড়ির নগর বেরুবাড়ি অঞ্চলের পাঁচটি গ্রামের বাসিন্দাদের কাছে বর্ষা মানেই দুর্ভোগ। ডোকাই চাঁদ নদীর উপর একটি পাকা সেতুর জন্য গত ত্রিশ বছরের বেশি সময় ধরে আবেদন নিবেদন করেও মিলছে না সমাধান। বাধ্য হয়ে বর্ষার জলস্রোতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া গ্রামের মানুষ শরতে ভরসা রাখেন বাঁশের সাঁকোতেই।
নগর বেরুবাড়ি, অমরখানা, লালা বাজার পাড়া, ধর্মদেব পাড়া এবং ছোবার হাটের বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচলের সময় প্রায়ই দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু প্রশাসন এখনও উদাসীন। বর্ষায় উত্তাল ডোকাই চাঁদ নদী পার হওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। তখন বহু ঘুরপথে চলাচল করতে হয়, যা সময়সাপেক্ষ এবং খরচসাপেক্ষ।

স্থানীয় বাসিন্দা কামিনী কুমার রায় বলেন, “জন্ম থেকেই এই সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছি। একসময় হিম পাইপ বসিয়ে সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু নদী আরও চওড়া হয়ে যাওয়ায় সেটি ব্যর্থ হয়েছে। এখন বাঁশের সাঁকো দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।”
গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য সারথি রায় জানান, “পঞ্চায়েত থেকে পঞ্চায়েত সমিতি এবং অন্যান্য দপ্তরের কাছে বহুবার আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু এখনও কোনও স্থায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।”
এদিকে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিনয় রায় বলেন, “বিষয়টি আমার জানা আছে। জেলা পরিষদ এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে যত দ্রুত সম্ভব এই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করব।”
গ্রামবাসীদের প্রশ্ন, কবে মিলবে প্রশাসনের নজরদারি? আর কতদিন বাঁশের সাঁকো দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে চলতে হবে? এখন দেখার, প্রশাসন এই বিষয়ে কত দ্রুত পদক্ষেপ করে।