হাওড়া : হায়দ্রাবাদ থেকে বাংলাদেশে যাওয়ার পথে রবিবার সাঁতরাগাছি স্টেশনে ধরা পড়ল এক নাবালক সহ চার রোহিঙ্গা নাগরিক। রেল পুলিশের তৎপরতায় চার ও পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের পরিচয়: মোহাম্মদ আলম (২৩), রিয়াসুল ইসলাম (২০), বেগম দিলবার (৩৪) এবং একজন নাবালক।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার পর তারা দীর্ঘদিন শরণার্থী শিবিরে ছিল। সেখান থেকে চোরাপথে ভারতে প্রবেশ করে এবং হায়দ্রাবাদে গিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করছিল। কিন্তু হায়দ্রাবাদে কিছু সমস্যার সম্মুখীন হওয়ায় তারা ফের বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
রবিবার হায়দ্রাবাদ থেকে সাঁতরাগাছি স্টেশনে এসে পৌঁছালে রেল পুলিশের সন্দেহ হয়। প্ল্যাটফর্মে ভিড়ের মধ্যে চারজনের আচরণ সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কোনো বৈধ নথিপত্র না থাকায় অবশেষে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশের অনুমান, এরা পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশে ফেরার চেষ্টা করছিল। সাধারণত নদীপথ বা সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোর চোরাপথ ব্যবহার করে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করে। সাঁতরাগাছি স্টেশনে ধরা পড়ার পর পুলিশের কাছে তারা বাংলাদেশে ফেরার পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেছে।
ধৃতদের মঙ্গলবার হাওড়া জেলা আদালতে তোলা হয়েছে। আইন অনুযায়ী, অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হবে এবং পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে আদালত। সাধারণত, এই ধরনের অনুপ্রবেশকারীদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য প্রশাসনিক ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা হয়।
ভারতে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ এবং তার পরবর্তী চলাফেরা প্রশাসনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে। সীমান্তে কড়া নজরদারি থাকা সত্ত্বেও তারা কোনোভাবে দেশে ঢুকে কাজ করে আবার ফিরতে চাইছে। সাঁতরাগাছির এই ঘটনায় অবৈধ অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কড়া পদক্ষেপের ইঙ্গিত মিলছে। ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা রুখতে সীমান্ত সুরক্ষা ও নজরদারি আরও জোরদার করা প্রয়োজন।