সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : বাবা শ্রমিকের কাজ করেন ওয়েল্ডিং কারখানায়, আর মা বিড়ি বাঁধার কাজ করেন। কারখানার মালিকের দেওয়া আশ্রয়ে তাদের বসবাস। অভাব অনটনের সংসারে মাঝে মধ্যেই মায়ের বিড়ি বাঁধার কাজে সহায়তা করে মেয়ে। এরমধ্যেই পড়াশোনা করে ভালো নম্বর নিয়ে এবছর উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছে জলপাইগুড়ির জমিদারপাড়া এলাকার দুঃস্থ পরিবারের মেয়ে পারমিতা রায়। ভবিষ্যতে ইউপিএসসি পরীক্ষা দিয়ে জীবনে দাঁড়াতে চায় পারমিতা।

উচ্চমাধ্যমিকে তার মোট প্রাপ্ত নম্বর ৪৩৪। সেন্ট্রাল উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী পারমিতা বাংলায় ৮৭, ইংরেজিতে ৮১, ইতিহাসে ৯৩, নিউট্রিশনে ৮৩ ও সংস্কৃতে ৯০ নাম্বার পেয়েছে। পারমিতার বাবা বঙ্কিম রায় ওয়েল্ডিং কারখানায় শ্রমিকদের কাজ করেন। মা চায়না রায় বিড়ি বাঁধার কাজ করেন। তাদের মূল বাসস্থান মানিকগঞ্জ এলাকায় হলেও কারখানার মালিকের দেওয়া আশ্রয়ে প্রায় ১৫ বছর ধরেই এখানে রয়েছেন।

মাঝে মধ্যেই মায়ের বিড়ি বাঁধার কাজেও সহায়তা করে পারমিতা। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, আর্থিক সমস্যা রয়েছে। দুই মেয়ের পড়াশোনার খরচও রয়েছে। পরিবারের অতি সামান্য আয়। দুটো গৃহ শিক্ষক থাকলেও অর্থের অভাবে বাকি বিষয়গুলির জন্য শিক্ষিক নেওয়া সম্ভব ছিল না। সরকারি, বেসরকারি বা সহৃদয় ব্যাক্তিরা যদি এগিয়ে এসে তাদের সহায়তা করেন তাহলে তারা সাদরে তা গ্রহণ করবেন বলে জানান।