আজও বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করে জলপাইগুড়ির নাজিরপাড়া ও সারদাপল্লীর বাসিন্দারা

Even today the residents of Nazirpara and Saradapalli in Jalpaiguri travel on bamboo belts.

সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : যাতায়াতের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো! উল্লেখ্য জলপাইগুড়ির খড়িয়া গ্রামপঞ্চায়েতের নাজিরপাড়া ও সারদাপল্লীর যোগাযোগের ভরসা হিসেবে করলানদীর মাঝখানে একমাত্র রয়েছে ৭০মিটার লম্বা বাঁশের সাঁকো । এলাকার বাসিন্দারা নিজেদের উদ্যোগে তৈরী করেছেন এই সাঁকোর। স্থানীয় এলাকাবাসীদের দাবী দুই এলাকার মানুষের যাতায়াতের জন্য করলা নদীর উপর পাকা সেতু হলে এলাকার বাসিন্দাদের খুব ভাল হয়।

সারদা পল্লীর বাসিন্দা দীপালি মন্ডল ও নেপাল দাস বলেন, আমরা সারদাপল্লীর ৭ নম্বর স্পারের বাসিন্দা! আমাদের জলপাইগুড়ি শহরে নিত‍্যদিন কাজের জন্য , স্কুল , কলেজে যাওয়ার ক্ষেত্রে , হাসপাতাল থেকে শুরু করে শহরে যে’কোন কাজে অল্পসময়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে শটকাট্ রাস্তা হচ্ছে নাজিরপাড়া হয়ে গন্ডারমোড় হয়ে শহরে যাওয়া। এক্ষেত্রে এলাকার বাসিন্দারা তাই করলা নদীর উপর নিজেদের উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো তৈরী করেছে । উল্লেখ্য এখন নদীতে কম জল তাই এই বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়েই যাতায়াত । বর্ষা আসলে নদীর জলের তোড়ে বাঁশের সাঁকোটি ভেঙ্গে চলে যায়। সেক্ষেত্রে নৌকায় পাড়াপাড় কিংবা আবার ঘুরপথে ডিএম অফিসের সামনে দিয়ে যেতে হয় শহরে ।

অন্যদিকে নাজিরপাড়ার বাসিন্দা সঞ্জীব মোদক বলেন, এই এলাকা কৃষি প্রধান এলাকা। এই করলা নদীর দুই পাশেই দুইপাড়ের বাসিন্দাদের জমি আছে। তাদের কৃষি কাজের জন্য যাতায়াত করতে হয় । তাই দুইএলাকার বাসিন্দাদের সুবিধার্থে করলা নদীতে এলাকার বাসিন্দারা বাঁশের সাঁকো তৈরী করেছে । ভরা বর্ষায় বাঁশের সাঁকো ভেঙ্গে গেলে নৌকা দিয়ে সবাই যাতায়াত করে। তবে পাঁকা সেতু হলে খুব ই সুবিধা হয়। এই বিষয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানকে জানানো হয়েছে। কাজের কাজ এখনো কিছুই হয়নি বলে তিনি জানান ।

অন‍্যদিকে এবিষয়ে জলপাইগুড়ি খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুভাষ চন্দ বলেন, এর আগে খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে ওই বাঁশের সাঁকোটি তৈরী করার জন্য সদর ব্লকের দপ্তরে জানানো হয়ে ছিল। কিন্তু নদীর বেট অনুযায়ী বাঁশের সাঁকো তৈরীতে উচ্চতা এতটাই বৃদ্ধি পাচ্ছে যে তাতে যাতায়াতে বড়সর দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই ওখানে প্রশাসনিক উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো তৈরী করা সম্ভব হয়নি। তিনি আরও বলেন ইতিমধ্যে জেলা পরিষদে পাঁকা সেতুর জন্য একটা স্কিম জমা দেওয়া হয়েছে। সেটা বাস্তবায়িত হলে অবশ্যই জনগণের স্বার্থে পাঁকা সেতু তৈরী করা হবে বলে তিনি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *