সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : প্রথম দিনেই উপছে পড়া ভিড় জলপাইগুড়ি – দার্জিলিংগামী সরকারি বাসে। দীর্ঘ প্রায় তিন দশক পর জলপাইগুড়ি থেকে সরাসরি পাহাড়ের রানী দার্জিলিং এর উদ্যেশ্যে যাত্রীদের নিয়ে ছুটলো সরকারি বাস। খুশির হাওয়া যাত্রীদের মধ্যে। পশ্চিমবঙ্গের শৈল শহর দার্জিলিং। আর এই দার্জিলিং পাহাড়ের হাতছানি কেউই যে হাতছাড়া করতে চায়না তা দেখা গেল মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি শান্তিপাড়া সরকারি বাস ডিপোয়। সকাল সাড়ে ৮ টায় দার্জিলিংগামী বাস ছাড়ার কথা ছিল। তিরিশ মিনিট আগে টিকিট কাউন্টার খুললেও ১৫ মিনিটের মধ্যে টিকিট শেষ।

বাসে সীমিত সিট হিসেবে ৩০ জনের বসার পরিকাঠামো ছিল। কিন্তু তা সত্বেও অতিরিক্ত যাত্রী হয়। এই গাড়িতে জায়গা না থাকায় বাধ্য হয়ে শিলিগুড়িগামী বাসে উঠেন অনেক যাত্রী। তারা শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিংগামী বাস ধরবেন বলে জানা গেছে ডিপো সুত্রে। আপাতত অনলাইন টিকিট বুকিং করার সুবিধা নেই। প্রতিদিন বাস ছাড়ার আধ ঘন্টা আগে জলপাইগুড়ি ডিপোতে এসেই যাত্রীদের ম্যানুয়াল টিকিট সংগ্ৰহ করতে হবে। অনেকের মতে এই ব্যবস্থার দ্রুত পরিবর্তন না হলে যাত্রীদের হয়রানি বাড়বে। আজকের মতো অনেককেই টিকিট না পেয়ে ফিরে যেতে হবে।

এদিনের প্রথম দিনেই পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে এই গাড়িতেই দার্জিলিংয়ে ঘুরতে যাছেন জলপাইগুড়ির বাসিন্দা অর্পিতা ভদ্র তিনি বলেন, জলপাইগুড়ি থেকে দার্জিলিংগামী বাস চলাচল শুরু হওয়ায় খুবই ভাল লাগলো। সিটের একটু সমস্যা আছে। বসার সিটগুলি যদি একটু উন্নতমানের হত তাহলে ভালো হয়।

দার্জিলিংগামী বাসের চালক গোপাল দাস তিনিও পাহাড়ি পথে গাড়ি চালাবেন বলে মুখিয়ে আছেন। তিনি বলেন, পাহাড়ি পথে আমি গাড়ি চালিয়েছি আমার কোন অসুবিধা হবে না। আজকে সরকারি ডিপো থেকে প্রথম দার্জিলিংয়ে বাস চালিয়ে নিয়ে যাব, এর মজাটাই আলাদা।

প্রথম দিনের শুরুতেই খুশি জলপাইগুড়ি ডিপোর অন্যান্য কর্মীদের পাশাপাশি ডিপো ইনচার্জ দীপক রাহা তিনি বলেন, গতকাল এই দার্জিলিংগামী বাসটির সুচনা করেন এনবিএসটিসির চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায়। প্রথম দিনেই ব্যাপক সাড়া। বাসের সিট নিয়ে কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং যাওয়ার বাসের সিট একই রকম, জলপাইগুড়ির ক্ষেত্রে আলাদা কিছু নেই।