সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : শুক্রবার রাতভর তল্লাশির পরেও জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের খোঁজ পেলো না পুলিস। হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন খারিজ হতেই গা ঢাকা দেয় জেলা যুব তৃনমূল সভাপতি। বাড়ি সহ বিভিন্ন আস্তানায় রাতভর পুলিসের তল্লাশির পরেও অধরা সৈকত। চাঞ্চল্য জলপাইগুড়িতে (সংবাদের শেষে দেখুন ভিডিও)।

উল্লেখ্য, গত ১লা এপ্রিল আত্মহত্যা করেন জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন উপ পুরমাতা অপর্ণা ভট্টাচার্য ও তাঁর স্বামী সুবোধ ভট্টাচার্য। উক্ত দম্পতির আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে মূল অভিযুক্ত জলপাইগুড়ি জেলা যুব তৃনমূল সভাপতির উচ্চ আদালতে আগাম জামিনের আবেদন খারিজ হতেই, শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করার জন্য অভিযুক্ত সৈকত চ্যাটার্জীর বাড়ি সহ বিভিন্ন আস্তানায় তল্লাসি অভিযান শুরু করে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালী থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। এর পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে জাতীয় সড়কে শুরু হয় নাকা তল্লাশি। যদিও এই নাকা তল্লাশি পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য বলে দাবি করেছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।

অপরদিকে জলপাইগুড়ি শহরে ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে সৈকত চ্যাটার্জীকে খুঁজে না পাওয়ার খবর। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ দম্পতি আত্মহত্যা মামলায় প্রধান অভিযুক্ত পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চ্যাটার্জীর করা আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি সৌমেন সেন ও রাজা বসু চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ। এরপরেই পুলিসের তৎপরতা শুরু হয় বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা। যদিও শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত কোতোয়ালী থানার পুলিসের করা অভিযানের পরেও জোড়া আত্নহত্যার ঘটনায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সৈকত চ্যাটার্জীর কোনো হদিস পাওয়া যায় নি বলেই পুলিশ সূত্রের খবর।