সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : একই বুথ, একই আসন। প্রার্থীও আবার একই পরিবারের তিন ভাইয়ের স্ত্রী। তিনটি রাজনৈতিক দলের হয়ে তাঁরা একে অপরের বিরুদ্ধে ভোট যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন। এখানেই শেষ নয় সম্পর্কে তারা জনপ্রিয় অভিনেত্রী তথা সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর মামী। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের খড়িয়া গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার ১৭/১৫৫ নম্বর বুথে ভোটের হাওয়া ইতিমধ্যে জমে উঠেছে।

সাধারণ ভোটারেরাও বিষয়টিকে ইতিমধ্যে উপভোগ করতে শুরু করেছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তিন প্রার্থীর মধ্যে রাজনৈতিক ভেদাভেদ থাকলেও তাদের সম্পর্কে কিন্তু তার বিন্দু মাত্র তার লেশ পরেনি।

চক্রবর্তী পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই ঘটনা তাদের পরিবারে নতুন নয়। উল্লেখ্য এর আগেও তাদের পরিবার থেকে এই আসনে কাকা ভাইপো, দুই ভাই একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। সুতরাং বিষয়টিকে তারা ভোট উৎসব বলেই মনে করছেন।

জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে পুরাতন পাড়া এলাকার দীর্ঘদিন থেকেই বসবাস করছে চক্রবর্তী পরিবার। শুধু তাই নয় রাজনীতির সাথেও এই পরিবার দীর্ঘ বছর থেকে সরাসরি যুক্ত থাকার সুবাদে পরিবারের একাধিক ব্যক্তি পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। শুধু তাই নয় স্বর্গীয় অনিল চক্রবর্তী খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের পদ সামলে ছিলেন। যে কারণে এবারের নির্বাচনটিকে তারা ভোটের লড়াই হিসেবেই দেখছেন।

পুরাতন পাড়ার বাড়িতে বসে কথা হচ্ছিল পরিবারের তিন গৃহবধু পর্না নাগ চক্রবর্তী, কান্তা চক্রবর্তী এবং পুনম চক্রবর্তীর সাথে। তিনজনের মধ্যে বাম প্রার্থী পর্না দেবী কলেজ জীবন থেকেই বামপন্থী রাজনীতির সাথে যুক্ত আছেন। বর্তমানে তিনি মহিলা সমিতির জেলা কমিটির সদস্যা।

অন্যদিকে পুনম চক্রবর্তী আগে রাজনীতির মধ্যে না থাকলেও বিয়ের পরে শ্বশুর বাড়ির সুবাদে তৃনমূলের মিছিল মিটিংয়ে বহুবারই গিয়েছেন। এবার তিনি লড়াই করছেন তৃণমূলের হয়ে। তবে শান্তা চক্রবর্তী সরাসরি যুক্ত নয়। এবছর তিনি জাতীয় কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে অন্য দুই জনের সাথে লড়াই করছেন।