সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ১৭ আগস্ট’২৩ : তৃনমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতিকে হেনস্থার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃনমূল ছাত্র পরিষদ এবং এসএফআইয়ের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ। বুধবার রাতে জলপাইগুড়ি শহরের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল ডিবিসি রোড এলাকা। দুই পক্ষের মধ্যে চললো হাতাহাতি এবং ইট বৃষ্টি। ঘটনার খবর পাওয়ার পরেই ঘটনাস্থলে আসে কোতয়ালী থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী। নামানো হয় র্যাফ। দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করতে মূদু লাঠি চার্জ করে পুলিশ।

ঘটনায় দুই পক্ষের প্রায় ১০ জন আহত হয়েছে বলে খবর। এদিকে এই ঘটনায় সিপিআইএমের জেলা কমিটির পাঁচজন সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।তারা হলেন জিয়াউর রহমান, পিযুষ মিশ্র, প্রসেনজিৎ রায়, সুদীপ চক্রবর্তী’ ও জ্যোতি বিকাশ কর। জানা গেছে তৃনমূল ছাত্র পরিষদের নেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের ওপর আক্রমণের প্রতিবাদে বুধবার রাতে প্রতিবাদ মিছিল বের করে জলপাইগুড়ি জেলা তৃনমূল ছাত্র পরিষদ। ওই মিছিল ডিবিসি রোড এলাকায় থাকা সিপি আইএম পার্টি অফিসের সামনে আসার পরেই এসএফ আইকে উদ্দেশ্য করে শ্লোগান দিতে থাকে। তবে এসএফআইয়ের অভিযোগ তৃনমূল ছাত্র পরিষদ, জেলা সিপিআইএম কার্যালয়ের ভেতরে থাকা তাদের জেলা অফিস দখল করার জন্য ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করতে থাকে। বাধা দিলেই শুরু হয় মারামারি।

সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়িতে কোতোয়ালী থানায় আটক সিপিএম নেতাদের থানা থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় তৃণমুল ছাত্র ছাত্রীদের কর্মীরা বিক্ষোভ দেখায়। এছাড়াও সিপিএমে বর্ষিয়ান নেতা সলিল আচার্য, জীতেন দাস সহ অন্যান্য নেতারা থানায় ধৃত নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে এলে তারাও বিক্ষোভের মধ্যে পড়েন। পুলিশকে ঘিরেও চলে বিক্ষোভ। তৃণমুল ছাত্র পরিষদের কর্মীদের দাবি। গতকালের ঘটনায় আরও যারা দোষী ছিলেন তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে।

যদিও গতকালের ঘটনা প্রসঙ্গে জেলা সিপিএম সম্পাদক সলিল আচার্য বলেন, গণতন্ত্র থাকলে সেখানে কোনো রাজনৈতিক দল ওপর কোন রাজনৈতীক দলের অফিসে এই ভাবে হামলা চালাতে পারে না। গ্রেফতার করার মতো অবস্থা সৃষ্টি হয়নি গতকাল। কিন্তু শাসক দলের ওপর মহলের চাপে পুলিশ এমনটা করেছে।

অন্যদিকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষে টাউন ব্লক টিএমসি কনভেনার শুভজিৎ ঘোষ বলেন, বাম নেতারা জোর করে আমাদের ওপর আক্রমণ করছে তাই তাদের অবিলম্বে শাস্তি চাই।