সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ২২ আগস্ট’২৩ : সাম্প্রতিক কয়েকটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার পর, অশরীরির আতঙ্কে ভয়ে সিটিয়ে গেছে সুখানি গ্রাম পঞ্চায়েতের গোসাইয়াখারা গ্রাম। কয়েকদিন ধরেই অবাঞ্ছিত কোনও ঘটনার আশঙ্কায় জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এই গ্রামে সন্ধ্যের পর গ্রামবাসীরা কেউ রাস্তায় বেরোচ্ছেন না। বাসিন্দাদের বক্তব্য ১৪০ টি পরিবারের বসবাস এই গোসাইয়াখারা গ্রামে। তাদের আশঙ্কা সন্ধ্যার পর কেউ বাড়ির বাইরে বেরোলে কোনও অশরীরি কারও না কারও উপর ভর করতে পারে। যার ফল হয়তো শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যায় মৃত্যু।

গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ আব্দুল গফফর বলেন, কয়েকদিন আগে হাবিবা বেগম (২৪) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করে। তারপর থেকেই পুরোনো একটি ভয় গ্রামবাসীদের মনে বাসা বেঁধেছে। তাঁর বক্তব্য, কোনও এক অশরীরি হাবিবা বেগমকে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করত। হাবিবা মৃত্যুর আগে প্রলাপ বকতো, অস্বাভাবিক আচরণ করতো। তারপরই গৃহবধূ কোনও কারণ ছাড়াই আত্মহত্যা করে। এমনকি ওই মৃত্যুর ব্যাপারে বাপের বাড়ি ও শ্বশুরবাড়ি কোনও তরফেই কোনও অভিযোগ দায়ের করেন নি। এক ছেলে, এক মেয়ে ও স্বামী সংসার নিয়ে বেশ ছিল হাবিবা। কিন্তু আচমকা তাঁর উপর কোনও অশরীরির আতঙ্ক চেপে বসে। এরজন্য কিছু ওষুধপত্রও খেত। কিন্তু তা নাকি খুব একটা কাজে লাগে নি।
গোসাইয়াখারার বাসিন্দা সাত্তার আলি, নহিমা খাতুন বলেন, বেশ কিছুদিন আগে একইভাবে ওই পাড়ারই সমীরুল হক নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছিল। মৃত্যু হয়েছিল জাহেদা খাতুন (২৮) , তুহিনা খাতুন (২৬) নামে দু’জনেরও। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, প্রত্যেক মৃত্যুর ক্ষেত্রেই দেখা দিয়েছে তাঁরা নাকি কোনও অশরীরির নিয়ন্ত্রণে চলে গিয়েছিল। তাঁদের দাবি ঝড়ফুঁক, ডাক্তার বদ্যিতেও নাকি কাজ হয়নি। শেষ পর্যন্ত তাঁরা নাকি আত্মহত্যা করেছে।
আরো পড়ুন : জলপাইগুড়ি শহরে সরকারি বাস থেকে গাঁজা উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য
সুখানি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ইজরায়েল হক বলেন, গ্রামবাসীদের মধ্যে একটা আতঙ্ক কাজ করছে শুনেছি। ওখানকারই লোকজন বিভিন্ন অশরিরীর আতঙ্কে রয়েছে বলে, আমার কাছে জানিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা বিভিন্ন জায়গায় আলোচনা করছি। এর সমাধান সূত্র কি তাও জানার চেষ্টা চলছে।