অধরা সৈকত; পুলিশ কেন অভিযুক্তকে এখনও গ্রেপ্তার করছেন না প্রশ্ন তানিয়ার

সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ৭ সেপ্টেম্বর’২৩ : জলপাইগুড়িতে দম্পতির অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৈকত চ্যাটার্জী এখনও অধরা। পুলিশ কেন অভিযুক্তকে এখনও গ্রেপ্তার করছেন না প্রশ্ন তুলে বৃহস্পতিবার তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে দেখা করলেন মৃত দম্পতির মেয়ে তানিয়া ভট্টাচার্য।

উল্লেখ্য, চলতি বছর ১ এপ্রিল জলপাইগুড়ি শহরের পাণ্ডাপাড়ার দম্পতি পুরসভার প্রাক্তন উপপ্রধান অপর্না ভট্টাচার্য ও আইনজীবী সুবোধ ভট্টাচার্য আত্মহত্যা করে। দম্পতির ঘর থেকে পুলিশ উদ্ধার করে সুইসাইড নোট। সেই সুইসাইড নোটে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠে পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চাট‍্যাজি সহ তাঁর ঘনিষ্ঠ ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সন্দীপ ঘোষ, মনোময় সরকার, সোনালী বিশ্বাসের। সুবোধ ভট্টাচার্যের দিদি বিজেপি বিধায়ক শিখা চ্যাটার্জী জলপাইগুড়ি কোতয়ালী থানায় অভিযোগ জানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে।

পুলিশ তদন্তে নেমে সন্দীপ, মনোময়, সোনালীকে গ্রেপ্তার করে। নির্দিষ্ট সময়ে চার্জশিট জমা না দেওয়ার ধৃত তিনজনই জামিয়ে ছাড়া পেয়ে যায়। এদিকে মূল অভিযুক্ত সৈকতের জামিন হাইকোর্ট থেকে নাকচ হতেই পলাতক হয়ে যায়। এদিন তানিয়া বলেন, “প্রায় তিনমাস থেকে মূল অভিযুক্ত সৈকত চাট‍্যাজি পলাতক। মূল অভিযুক্তকে পুলিশ খুঁজে পাচ্ছে না, এটা কিভাবে সম্ভব। কেন খুঁজে পাচ্ছেন না এখন এটাই প্রশ্ন। সৈকত এতটাই প্রভাবশালী যতদিন বাইরে থাকবে ততদিন এই কেসটাকে প্রভাবিত করবে। এদিকে আমি যাদের চিনি না তারা এসে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। যতদিন সৈকত পদে বহাল থাকবে ততদিন প্রভাব থাকবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপায়ের কাছে অনুরোধ বিষয়টিকে দেখার জন্য। বিষয়টি আমি তৃণমূলের জেলা সভানেত্রীকেও জানিয়েছি। এর আগেও আমি নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশকে জানিয়েছি। এই অসম লড়াইয়ে আমি সকলের সাহায্য প্রার্থনা করছি কি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *