সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ১৬ সেপ্টেম্বর’২৩ : জলপাইগুড়ি কোরক হোম কর্তৃপক্ষের পরিকাঠামো এবং পরিষেবা গত একাধিক ত্রুটি রয়েছে।

গত ডিসেম্বর মাসে ওই হোমের এক নাবালক আবাসিকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্ত রিপোর্টে এমনই উঠে এলো। শুক্রবার এই মামলার চুড়ান্ত শুনানিতে হোম কর্তৃপক্ষের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিল জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ।

নাবালক আবাসিক আত্মহত্যা করেছিল বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করেছে সিবিআই। রাজ্যের সমাজ কল্যান দপ্তরের অধীনে থাকা জলপাইগুড়ি কোরক হোমে গত বছর ডিসেম্বর মাসে এক নাবালক আবাসিকের অস্বাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ঝুলন্ত অবস্থায় ওই নাবালকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

কোচবিহার জেলার টাপুর হাটের বাসিন্দা ওই নাবালকের হয়ে জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে জামিনের আবেদন জানিয়ে ছিল পরিবার। জামিনের আবেদনের শুনানির আগেই আকস্মিক এই মৃত্যুর ঘটনার খবর শুনে পুলিশের কাছে রিপোর্ট তলব করে ডিভিশন বেঞ্চ। কিন্তু পুলিশের রিপোর্টে অসঙ্গতি থাকায় ঘটনার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। তদন্তের পর রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ার পর শুক্রবার এই মামলায় চুড়ান্ত রায় দিল আদালত।

এদিকে মৃত নাবালকের পক্ষের আইনজীবী সুমন সেহেনবিশ দাবি করেন, ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতিরা পুনরায় তদন্তের আবেদন করার সুযোগ দিয়েছেন। তাছাড়া সিবিআই তদন্তের রিপোর্টে যা রয়েছে সেটা ধরে নিয়ে তারা ওই পথেই যাবেন বলে জানান।

অন্যদিকে সার্কিট বেঞ্চের সহকারি সরকারি আইনজীবী অদিতি শঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, রিপোর্টে নাবালক আবাসিক আত্মহত্যা করেছে বলেই উল্লেখ করা হয়েছে। তবে কোরক হোমের একাধিক গাফিলতি উঠে এসেছে। যে কারনে আদালতে জেলা শাসককে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।