সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ২১ সেপ্টেম্বর’২৩ : অবৈধভাবে চলা জলপাইগুড়ি শহরের পান্ডাপাড়ার একটি নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারের ঝাঁপ বন্ধ করে দেওয়া হল। স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রশিক্ষনের আড়ালে প্রতারনার অভিযোগে বন্ধ করা হল নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারটি। মঙ্গলবার জেলা স্বাস্থ্য দফতর শহরের পান্ডাপাড়ায় নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারটিতে অভিযান চালায়। এরপরেই বন্ধ করে দেওয়া হয় সেন্টারটি। এদিকে এই নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারের মাধ্যমে ভিন রাজ্যে পাঠানো ছাত্রী ও ছাত্রীর পরিবাররা বিপাকে। জলপাইগুড়ি শহরের বুকে নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারের অবৈধ কার্যকলাপে চক্ষুচড়কগাছ শহরবাসীর। ছাত্র ছাত্রীদের ভবিষ্যত নিয়ে ছেলেখেলা হচ্ছে অভিযোগ অভিভাবকদের।

এই নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারের এক ছাত্রীর অভিভাবক ইসমাইল খান অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়েকে শান্তনু শর্মার নার্সিং ট্রেনিং স্কুলের মাধ্যমে বেঙ্গালোরে নার্সিং ট্রেনিং করতে পাঠিয়েছি। তিন বছরে ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা দিতে হবে। আমি ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা দিয়েছি। এখন দেখছি এটা অবৈধ। মেয়েটা বেঙ্গালোরে আছে। ভাবছি মেয়েকে ফিরিয়ে আনবো। মেয়ে বলছে যেখানে নার্সিং ট্রেনিং হওয়ার কথা সেখানে নার্সিং করানো হচ্ছে না। এখন কী করব বুঝতে পারছি না।”

এদিকে নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারের প্রতিবেশী বাসিন্দা মুন্না বর্মন ঘোষ বলেন,”আমরা জানতান না এটা অবৈধ। অনেক মেয়ে আসতো। আজ দেখলাম সব ব্যানার খুলে দেওয়া হয়েছে।”

বন্ধ করে দেওয়া নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারের কর্নধার শান্তনু শর্মা বলেন,” স্বাস্থ্য দপ্তর আমাকে ডেকেছিল। আমার যা কাগজ ছিল দেখিয়েছি। তাতে স্বাস্থ্য দপ্তর বলেছে স্বাস্থ্য ভবনের কোন কাগজ নেই। আমি আপাতত সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছি। অভিভাবকদের আমি সর্বতভাবে সহযোগীতা করব। নার্সিং ট্রেনিং বা প্যাথলজিক্যাল প্রশিক্ষণের তার কোন কাগজ নেই বলে স্বীকার করেছেন তিনি।