সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ১ নভেম্বর’২৩ : ১৪ দিন জেল হেফাজতের পর জলপাইগুড়ির দম্পতির অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত যুব তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি তথা জলপাইগুড়ি পুরসভার উপ পুরপিতা সৈকত চ্যাটার্জীকে বুধবার জেলা আদালতের সিজেএম কোর্টে তোলা হল।

উল্লেখ্য, ১৮ অক্টোবর জেলা আদালত অভিযুক্ত সৈকতকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল। অসুস্থ থাকার কারণে সৈকত এতদিন জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের অধীনে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ দিন হাসপাতাল থেকে সোজা জেলা আদালতে নিয়ে আসা হয় তাঁকে।

এ দিন দুপুরে আদালতের নির্দেশে হাজত থেকে সৈকতকে কোর্টে তোলা হয়েছে। কোর্টে উঠার আগে সৈকত সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, আমি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলাম। এখন অনেকটা স্থিতিশীল রয়েছি। এখন শুনানির জন্য আদালতে যাচ্ছি। শুনানির পর বলতে পারবো।” উল্লেখ্য ১ এপ্রিল জলপাইগুড়ি পান্ডাপাড়ার বাসিন্দা তথা জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন উপ পুরমাতা অপর্ণা ভট্টাচার্য এবং তাঁর স্বামী আইনজীবী সুবোধ ভট্টাচার্যের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। সুইসাইড নোটে সৈকত সহ চারজনকে দায়ী করে যান দম্পতি।

আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে বাকি তিন অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হলেও অধরাই ছিলেন সৈকত। সৈকতের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট। এরপর ১৬ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জেলা আদালতে দ্বারস্থ হয় সৈকত। দুই দিনের পুলিশ হেফাজতের পর ১৮ অক্টোবর ১৪ দিনের জেল হেফাজতে থাকার পর এ দিন আবার আদালতে হাজির করা হল তাঁকে। এ দিন জামিন হবে নাকি আবারও জেল হেফাজতে যেতে হবে এখন সেদিকে তাকিয়ে সকলে।