জামিন সৈকতের। কেন হাজির ছিলেন না মামলাকারীর আইনজীবীরা!

সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ৩ নভেম্বর’২৩ : জামিন সৈকতের ! আদালতে গরহাজির মামলাকারীর আইনজীবীরা। মামলাকারীর আইনজীবী সৌজিৎ সিংহের মুখে চাপের উল্লেখ। কিছুদিন আগে তিনিই নিজের নিরাপত্তার অভাবের অভিযোগ জানিয়েছিলেন মিডিয়ার সামনে।

১৪ দিন জেল হেফাজতের পর জলপাইগুড়ি দম্পতির আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা উপ পুরপ্রধান সৈকত চ্যাটার্জীর শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর হয় বুধবার। হাজত থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সৈকত চ্যাটার্জী জানিয়েছিলেন, বিজেপি ও কিছু বিরোধীদের রাজনৈতিক চক্রান্তের বিরুদ্ধে আইনের জয় হল।

তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল বুধবার শুনানির সময় আদালতে হাজির ছিলেন না মামলাকারীর কোন আইনজীবী। বিষয়টি নিয়ে জলপাইগুড়ি নিউজের প্রতিনিধি হাজির হয়েছিলেন মামলাকারীর আইনজীবীদের অন্যতম সৌজিৎ সিংহের কাছে। তিনি মূলত মামলাকারীর আইনজীবীদের নেতৃত্বে ছিলেন। উল্লেখ্য, মৃত দম্পতির মামলায় 18 অক্টোবর সৈকত চ্যাটার্জিকে 14 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়ার পরদিন এক সাংবাদিক সম্মেলনে সৌজিৎ সিংহ নিজের নিরাপত্তার অভাব বোধ হওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন এবং এ বিষয়ে পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন। কোর্ট চত্বরেই তাকে কার্যত হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে সেদিন অভিযোগ করেছিলেন তিনি।

বৃহস্পতিবার আমাদের প্রতিনিধির মুখোমুখি হয়ে সৌজিৎ সিংহ বলেন, প্রথমত মামলাটা আমার একার ছিল না। ভারতীয় জনতা পার্টির লিগ্যাল সেলের সবাই এতে যুক্ত ছিলেন। হ্যাঁ, তবে এটা ঠিক যে আমি এই মামলায় লিড করছিলাম। মামলার দিন আমি ব্যক্তিগত ভাবে উপস্থিত থাকতে পারিনি মায়ের অসুস্থতার জন্য এবং সেটা আমি আগেই বিজেপি জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামীকে জানিয়েছিলাম। তারপর কেউ দাঁড়ালো না কেন সেটা সঠিকভাবে বলা খুব মুশকিল। তবে আমার যেটা ধারণা, পুজোর মরসুম চলছে। সব কোর্ট খোলে নি। কোর্টে আইনজীবীদের উপস্থিতি খুবই কম এবং যে কয়জন ছিল সংখ্যালঘু হওয়ার জন্য বা সেরকম তারা সাহসী না হওয়ার জন্য বা বিভিন্ন চাপে তারা হয়তো ঢুকতে পারে নি কোর্টে বা ঢুকতে দেওয়া হয় নি তাদের কোর্টে, হতে পারে এরকমটা কিছু অনুমান করছি। অভিযুক্ত তিনিও তো একজন আইনজীবী। তার পক্ষে যারা আইনজীবীরা রয়েছেন, তারা সংখ্যায় বেশি ছিল। তারা চাপ দিয়ে সরিয়ে দিতে পারে, এরকম কিছু হয়েছে। তবে যেটা হয়েছে অবশ্যই ঠিক হয়নি। যেহেতু আমরা সন্তুষ্ট নই, তাই আমরা এই মামলা নিয়ে উচ্চ আদালতে যাব।

এ নিয়ে মামলাকারী শিখা চ্যাটার্জীর কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি (বিস্তারিত দেখুন নিচের ভিডিওতে ক্লিক করে)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *