সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ৬ ডিসেম্বর’২৩ : উত্তরাখণ্ডের সুরঙ্গে আটকে থাকা কর্মরত শ্রমিকদের বের করে আনতে পারে নি অত্যাধুনিক বিদেশি যন্ত্র অথচ সেই শ্রমিকদেরই ১৭ দিনের মাথায় পাথর ভেঙে আটকে থাকা ৪১ জন নির্মাণ শ্রমিককে সুস্থভাবে বার করে এনেছে তাদের সহযোদ্ধা নির্মাণ শ্রমিকরাই। এ যেন জন হেনরীর পাহাড় ভাঙ্গার কথা মনে করিয়ে দেয়। যেখানে অত্যাধুনিক যন্ত্র পরাজিত হলো সেখানে জয় হল শ্রমিকদের। ঐক্যবদ্ধ শ্রমশক্তির এই জয়কে কুর্নিশ জানিয়ে জলপাইগুড়ি শহরের কদমতলা মোড় থেকে শহরের রাজপথে মিছিল করেন শ্রমজীবী মানুষ।

জলপাইগুড়ি জেলার নির্মাণ ইউনিয়নের আহ্বানে এই মিছিলে নির্মাণ শ্রমিকদের সাথে পা মেলান, টোটো চালকদের ইউনিয়ন, হকার ইউনিয়ন, ব্যাংক এলআইসি ওষুধ কোম্পানির সাথে যুক্ত মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ সহ অন্যান্য ক্ষেত্রের শ্রমিক কর্মচারীরা। কদমতলা মোড় থেকে মিছিল শুরু করে শহর পরিক্রমা করে কদমতলায় এসে শেষ হয়। সিআইটিইউর সর্বভারতীয় নেতৃত্ব জিয়াউল আলম জানান, যেখানে প্রধানমন্ত্রী টিম অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ড সহ বিদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে কোটি কোটি টাকা খরচ করে অত্যাধুনিক মেশিন সহ বিভিন্ন টিম শ্রমিকদের উদ্ধারে ব্যর্থ হয়েছে। সেখানে ১২ জন দলিত সমাজের মানুষ নির্মাণ শ্রমিক যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে ১৭ দিনের মাথায় ৪১ জন আটকে পড়া নির্মাণ শ্রমিককে উদ্ধার করেছে তাদেরকে কুর্নিশ জানাতে নির্মাণ শ্রমিকদের ডাকে শ্রমজীবী অন্যান্য অংশের মানুষের ঐক্যবদ্ধ মিছিল জলপাইগুড়ি শহরে মিছিলে একত্রিত হয়েছে। এই শ্রমিকরা আমাদের গর্ব শ্রমশক্তিই পারে অসাধ্য সাধন করতে সেটা আরো একবার প্রমাণিত হয়েছে এই ঘটনার মধ্য দিয়ে। মিছিলে নেতৃত্ব দেন নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা কৃষ্ণ সেন অমিত দাস, শ্রমিক নেতা জিয়াউল আলম, কৃষ্ণ ব্যনার্জী, শুভাশিস সরকার, নীলাঞ্জন নিয়োগী, অপূর্ব বিষ্ণু সহ অন্যান্য শ্রমিক আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।