বিশ্বজিৎ নাথ, কলকাতা, ১৪ ডিসেম্বর’২৩ : পুলিশ আগেই অঙ্কিত কুমার সিং ও রাইস আলি নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, খুনের ঘটনায় এই দুজনের ভূমিকা ছিল খুনীদের আশ্রয় দেওয়া এবং রাস্তা চিনিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেওয়া। এই ঘটনায় পুলিশ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক ডেকে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া জানান, বিক্কি যাদব খুনের ঘটনায় মহম্মদ জিশান, পঙ্কজ সিং ওরফে ইমরান আহমেদ ও ইফতিকার আলম ওরফে সনুকে পাকড়াও করা হয়েছে।

জিশান ও পঙ্কজ কামারহাটির বাসিন্দা। সনু কলকাতার কাশীপুরের বাসিন্দা। যদিও পঙ্কজ ইদানিং জগদ্দলে থাকতো। পুলিশ কমিশনার আরও জানান, বিক্কি খুনের মূল পরিকল্পনা ছিল পঙ্কজের। হাওড়ার সলপে বসে খুনের ছক কষা হয়েছিল। দুটো বাইকে চেপে ওরা সলপ থেকে জগদ্দলে এসে খুন করে। ফের ওরা বাইক চেপেই সলপে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল। খুনে ব্যবহৃত দুটি মোটর বাইক পুলিশ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পুলিশ কমিশনার আরও জানান, প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, মোটর বাইকে চেপে তিনজনকে দেখা গিয়েছিল ঘটনাস্থলে আসতে । সেই বাইকের একদম পিছনে বসেছিল ইফতিকার আলম ওরফে সনু। বাকি দুজন সূর্য সাহা ও অরিন্দম ঘোষ। সূর্য ও অরিন্দম খোঁজ চলছে। পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়ার দাবি, গত ২২ জুলাই ভাটপাড়া মুকুল খুনে মূল অভিযুক্ত ছিল এই পঙ্কজ। ওই খুনে অভিযুক্ত ইমরান ও অরিন্দম ঘোষ। খুনের মোটিভ নিয়ে এখনও পরিষ্কার নন তদন্তকারীরা। এপ্রসঙ্গে পুলিশ কমিশনার বলেন, ঘটনার নেপথ্যে কেউ আছে কিনা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।