সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ২৬ ডিসেম্বর’২৩ : রাজ্যের অন্যান্য জেলা শহরগুলির মতো জলপাইগুড়ি শহরেরও গতি স্তব্ধ করে দিয়েছে অনিয়ন্ত্রিতভাবে সংখ্যায় বেড়ে চলা টোটো। এই অবস্থায় রাজ্যের একাধিক পুরসভা এই টোটো নিয়ন্ত্রণের পথে নেমেছে নানা ভাবে। জলপাইগুড়ি পুরসভা নতুন বছরের ৪ জানুয়ারি থেকে শহরে টোটো নিয়ন্ত্রণে একাধিক ব্যবস্থা নিতে চলেছে।
বিগত শনিবারে টোটো নিয়ে এক বৈঠকের পর জানানো হয়, জলপাইগুড়ি শহরের টোটোর ন্যূনতম ভাড়া ১০ টাকাই থাকছে। টোটোতে ভাড়া মিটার ও লাইট লাগাতে হবে। আর ৪ ঠা জানুয়ারি থেকে শহরে তৈরি করা আটটি ড্রপ গেটের মাধ্যমে টোটো নিয়ন্ত্রণ শুরু হবে। তবে টোটোর রেজিস্ট্রেশন ফি ৬৭০ টাকা থেকে কমিয়ে করা হয়েছে ৫০০ টাকা। যদিও টোটোর ন্যূনতম ভাড়া ১৫ টাকা করার দাবি জানিয়ে বৈঠকের শেষ পর্যায়ে বেরিয়ে আসেন সিটু অনুমোদিত ই রিকশা চালক ইউনিয়নের সদস্যরা।

মঙ্গলবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে ফের টোটো নিয়ে আন্দোলনে নামার কথা ঘোষণা করে বামপন্থী টোটো ইউনিয়ন। সিটু অনুমোদিত ই রিকশা চালক ইউনিয়নের সম্পাদক শুভাশীষ সরকার বলেন, নতুন বছর শুরু হতেই তারা আন্দোলনের পথে নামবেন। যদিও এর আগে টোটোর ন্যূনতম ভাড়া পুরসভার তরফে পনেরো টাকা করলেও ফের সেই ভাড়া দশ টাকা করা হয়েছে সাধারণ মানুষের স্বার্থে। কিন্তু সিটু অনুমোদিত ই রিকশা চালক ইউনিয়ন এই ভাড়া মানতে রাজি নয়। তাদের দাবি টোটোর ন্যূনতম ভাড়া পনেরো টাকা করতে হবে। যদিও হিসেব করলে দেখা যায় যে ন্যূনতম ভাড়া দশ টাকা হলেও প্রথম দুই কিমি যেতে পনেরো টাকাই পড়ছে। পাশাপাশি এর আগে টোটোয়ালাদের কাছ থেকে পুরসভা যে বিভিন্ন কারণে টাকা নিয়েছে তা ফেরতেরও দাবি জানিয়েছে সিটু অনুমোদিত ই রিকশা চালক ইউনিয়ন।