সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ২৬ ফেব্রুয়ারি’২৪ : এ রাজ্যে বেকারদের কাজ নেই ভারাক্রান্ত হয়ে বললেন ডক্টর জয়ন্ত কুমার রায়। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। পুনরায় দল তাকে নির্বাচনে লড়াই করার টিকিট দেবে কিনা সেটা মুখ্য বিষয় নয়, সাংসদের টিকিট ছাড়াও দলের যে কোনো কাজে তাকে পাওয়া যাবে এমনটাই বলছেন জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ ডাঃ জয়ন্ত কুমার রায়। এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি কি কি কাজ করেছেন এবং কি কি করতে পারেননি। সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই তিনি ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েন সাংসদ। তিনি বলেন, এই রাজ্যে বেকারদের কর্মসংস্থান নেই। প্রশাসন যদি সাহায্য করে, রাজ্য সরকার যদি বাধা না দেয় তবে আমি এখানে বড় শিল্প আনার জন্য চেষ্টা করবো। আমি মানুষের জন্য কিছু করতে পারলে আমার পরবর্তী সবচেয়ে বড় কাজ সেটাই হবে। কয়েকজন শিল্পপতির সাথে কথা হয়েছে, তারা আসতেও রাজি। তবে এই রাজ্যের কথা ভেবে তারা কিছুটা দ্বিধায়। বাকিটা আপনারা বুঝতেই পারছেন। তবে শিল্প আনলে কাজের সংস্থান হবে। বললেন তিনি।
আরো পড়ুন : লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু বিজেপির
রবিবার স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সড়ক ব্যবস্থা সহ কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের খতিয়ান তুলে ধরলেন জলপাইগুড়ির সাংসদ ডাঃ জয়ন্তকুমার রায়। এই নিয়ে জলপাইগুড়িতে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন তিনি। সাংসদ জানান, জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জন্য ২০২০ কুড়ি সালে ৩২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ন্যাশনাল রিলিফ ফান্ডের মাধ্যমে ১৭০ জন আর্থিক সহায়তা পেয়েছেন।
৩৩৭ কোটি টাকা খরচ করে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনকে সংস্কার করে বিশ্বমানের স্টেশনের রূপ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া অমৃত ভারত প্রকল্পের মাধ্যমে জলপাইগুড়ি টাউন, জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন সহ নিউ মাল ও হলদিবাড়ি স্টেশনকে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই রেল রুটগুলিকে বৈদ্যুতিকরণ করা হয়েছে বলে জানান সাংসদ ডাঃ জয়ন্তকুমার রায়। তিনি বলেন, জলপাইগুড়ি সহ বিভিন্ন রেল স্টেশনে অনেকগুলো ট্রেনের স্টপেজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও অনেক কাজ হয়েছে জলপাইগুড়িতে। জলপাইগুড়ি দূরদর্শন কেন্দ্রকে পুনরুজ্জীবিত করে নতুনভাবে অনেক প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছে বলে সাংসদ জানান। এছাড়া ১৬১টি রাস্তা তৈরি ও সংস্কার করা হয়েছে।