সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ৩১ মার্চ’২৪ : জলপাইগুড়িতে কালবৈশাখী ঝড়ে মৃত্যু বেড়ে হল দুইজন। ক্ষতিগ্রস্ত অসংখ্য বাড়ি ও দোকানের টিনের চাল উড়ে গেছে। রবিবার বিকেলে প্রায় পাঁচ মিনিটের কালবৈশাখী ঝড়ে বিভিন্ন এলাকা লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়।

কোথাও গাছ ভেঙে রাস্তা আটকে যায়, আবার কোথাও গাছের ডালে চাপা পড়লো মানুষ ও গাড়ি। প্রাণ হাতে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিলেন সকলে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাতকাটা ও ডেঙ্গুয়াঝাড় চা-বাগান এলাকায় ময়নাগুড়ির বিভিন্ন এলাকা সহ ধূপগুড়িতে ।

শহর লাগোয়া দক্ষিণ সুকান্ত নগরের গাছের ডালে চাপা পরে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। মৃতের নাম দীজেন্দ্র নারায়ণ সরকার (৫২), সেন পাড়ার কালীতলা রোডের বাসিন্দা। মৃতদেহ উদ্ধার করলো দমকল। অন্যদিকে গোশালা মোড়ে গাছের ডালে চাপা পরে মৃত্যু হল এক মহিলার।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে মাঠ থেকে গরু আনতে গিয়েছিল ওই মহিলা, বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনা। মৃতের নাম অনিমা বর্মণ (৪৯), বাড়ি ডেঙ্গুয়াঝাড় এলাকায়। জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ঝডে ঘর ভেঙে, গাছের ডাল ভেঙে জখম অসংখ্য শিশু ও বয়স্কদের ভর্তি করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসন ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখছে। ঝড়ে আহতদের দেখতে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে যায় তৃণমূল ও বিজেপি নেতৃত্বরা এবং তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তারা। জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আহতদের দেখার পর ধূপগুড়ির বিধায়ক তথা জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী নির্মল চন্দ্র রায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান ময়নাগুড়ির বার্নিশ এলাকা ঝরে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। আমি সেখানে যাচ্ছি।

নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুরোধ করব এই সময় যাতে এই সমস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায় এবং রাজ্য সরকারকে যেন সেই অনুমতি দেওয়া হয়। যাতে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করা সম্ভব হয়। অন্যদিকে, জলপাইগুড়িতে ঝড়ের তাণ্ডবের ঘটনায় শোক প্রকাশ করে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তিনি এক্সে লেখেন, ‘ত্রাণ সরবরাহ করে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। জেলা প্রশাসন আহত ও নিহতদের পরিবারকে এমসিসি অনুসরণ করে ক্ষতিপূরণ প্রদান করবে।’