জলপাইগুড়ি : সুইসাইড নোট লিখে আত্মঘাতী এক যুবতি। ঘটনাটি জলপাইগুড়ি পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের আদরপাড়া এলাকায়। আত্মঘাতী যুবতির নাম পৌলমী বোস (২১)। অভিযোগের ভিত্তিতে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার ঘটনায় ধৃত এক স্কুল শিক্ষক। ধৃতের নাম দেবরাজ তলাপাত্র। তার বাড়ি জলপাইগুড়ি অরবিন্দ নগর এলাকায়। দেবরাজ বিবাহিত।

মৃতার বাবা প্রবাল বসু পেশায় একজন ব্যবসায়ী এবং মা কাবেরী বসু গৃহবধূ। এই দম্পতির একমাত্র সন্তান পৌলমী সম্প্রতি বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক হয়েছেন। পাড়ায় ভালো মেয়ে হিসেবেই পরিচিত ছিল পৌলমী। একটি ধর্মীয় মঠে যাতায়াতের সুবাদেই দেবরাজের সাথে পরিচয়। জানা গেছে, সকালে প্রতিদিনের মতো নিজের দোকানে গিয়েছিলেন প্রবাল বাবু। দুপরের পরে ব্যাক্তিগত কাজে বাইরে গিয়েছিলেন কাবেরী দেবী। ফিরে এসে বাড়ির দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখেন। অনেক ডাকাডাকির পরেও দরজা না খোলায় স্বামীকে খবর দেন। প্রবাল বাবু এসে দরজা ভেঙে মেয়েকে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। মৃতার ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়। তাতে পৌলমী লিখেছেন, ‘আমার মৃত্যুর জন্য একমাত্র দায়ী দেবরাজ তলাপাত্র। সে আমার মন নিয়ে খেলেছে। মন ভেঙেছে। আমার ভুল হয়েছে। যেটা আমি মা বাবার কাছে তার কথা গোপন করেছি।’ সুইসাইড নোটে দেবরাজের নাম দেখে সকলে অবাক হয়ে যান। এরপর মৃতার পরিবারের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দেবরাজকে গ্রেপ্তার করে।
প্রবল বাবু বলেন, ধর্মীয় মঠে যাতায়াতের সুবাদে দেবরাজের সাথে আমাদের পরিচয়। আমাদের বাড়িতে তার নিয়মিত যাতায়াত ছিল। তবে তার প্রতি কোন সন্দেহ হয়নি আমাদের। কিন্তু সুইসাইড নোট দেখে বুঝতে পারলাম আমার মেয়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী দেবরাজ। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি চাই।
এদিকে অভিযুক্ত ব্যক্তি দেবরাজ তলাপাত্র বলেন, তিনি নির্দোষ।
কোতোয়ালি থানার আইসি সঞ্জয় দত্ত জানান, সুইসাইড নোটের ভিত্তিতে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার ঘটনায় এক ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভিডিও দেখুন নিচে।