একদিকে টোটোর রেজিস্ট্রেশন পুরসভায়, অন্যদিকে শহরে রেজিস্ট্রেশনবিহীন টোটোর অবাধ বিচরণ

জলপাইগুড়ি : একদিকে রেজিস্ট্রেশন করার জন্য পুরসভায় টোটো চালকদের ভিড়, অন্যদিকে শহরে রেজিস্ট্রেশন বিহীন টোটোর অবাধ বিচরণ, নিয়ন্ত্রণ কোথায় প্রশ্ন শহরবাসীর।

শহরের যানজট সমস্যা মেটাতে জলপাইগুড়ি পুরসভা থেকে টোটোর রেজিস্ট্রেশন ও টেম্পুয়ারি আইডিন্টি নম্বর অথাৎ টিন দেওয়া হচ্ছে। জলপাইগুড়ি পুরসভায় এখন চলছে টোটো চালকদের নাম নথিভুক্ত করার কাজ। আজ 9ই সেপ্টেম্বর রেজিস্ট্রেশনের শেষ দিন। কিন্তু টোটো চালকদের ভিড় এখনও কমছে না। রোজই গাড়ির কাগজ জমা দিতে কয়েক শতাধিক টোটো চালকদের ভিড় জলপাইগুড়ি পুরসভাতে।

আজও দেখা গেল প্রচুর টোটো চালককে জলপাইগুড়ি পুরসভায় এসে কুপন সংগ্রহের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে। এদিকে পুরসভা টোটো চালকদের রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার জন্য কিছু নিয়ম লাঘু করেছে টোটো সংগঠন পুলিশের সঙ্গে বৈঠকের পর। সেই নিয়মে উল্লেখ রয়েছে যার টোটো তাঁর নামে পুরসভায় টোটো রেজিস্ট্রেশন হবে ও আই কার্ড, টিন দেওয়া হবে। টোটো কোথা থেকে কেনা হয়েছে সেটার জিএসটি বিল দিতে হবে প্রত্যেক টোটো চালককে। পুরোনো টোটো কেউ যদি কিনে থাকেন সেই ক্ষেত্রে আগের টোটোর মালিকের নামে জিএসটি বিল থাকা বাধ্যতামূলক। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে গাড়ির কাগজ অন্য নামে হওয়ার জন্য বেশ কিছু টোটো চালককে ফিরে যেতে হচ্ছে। যদিও টোটো চালকদের বক্তব্য পুরনো টোটো কিনেছি তাই নতুন কাগজ কেউ দিচ্ছে না। তাই আমরা কি করব। জানা গেছে এখন পর্যন্ত জলপাইগুড়ি পুরসভায় প্রায় পাঁচ হাজার টোটো চালক তাদের টোটোর নাম নথিভুক্ত করেছেন।

অন্যদিকে নির্দিষ্ট চারটি পঞ্চায়েত এলাকার বৈধ টোটো ছাড়া বাইরের টোটো চালকদের শহরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। শহরের কয়েকটি জায়গায় পুলিশ ও পুর কর্মীরা টোটো চালকদের উপর নজরদারি করছেন। কিন্তু তাতেও শহরে অবৈধ টোটোর চলাচল আটকানো যাচ্ছে না। বড় রাস্তা ছেড়ে বিভিন্ন অলি গলি দিয়ে বাইরের টোটো চালকরা শহরে ঢুকে পড়ছে। তাছাড়া শহরের যে সমস্ত টোটোর রেজিস্ট্রেশন হয় নি তারাও আছে। কারন শহরের ভেতরে টোটোর উপর কোন নজরদারি নেই। সব মিলিয়ে নিয়ন্ত্রণ লাঘু হলেও রেজিস্ট্রেশন বিহীন টোটো এখনো শহরে চলাচল করছে বলে অভিযোগ সাধারণ মানুষের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *