জলপাইগুড়ি : গর্ভবতী মহিলার চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ, সন্তান জন্ম দেওয়ার আগেই মৃত্যু হল মহিলার। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার উত্তেজনা ছড়াল জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মাদার এন্ড চাইল্ড হাবে। মৃত মহিলার নাম সুস্মিতা রায়, বয়স ২৭। রাজগঞ্জ ব্লকের কুকুরজান এলাকার ক্রান্তি পাড়ার বাসিন্দা। মৃতার বাবার বাড়ি সদর ব্লকের গড়ালবাড়ির খোপড়া বান্দি। কোতোয়ালি থানা ও স্বাস্থ্য দফতরে মৃতার পরিবার অভিযোগ জানাল ঘটনার তদন্তের দাবি তুলে। বৃহস্পতিবার বাড়িতে প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয় সুস্মিতার। এরপর পরিবার তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরিবারের দাবি, হেঁটে হেঁটে হাসপাতালে প্রবেশ করে সুস্মিতা।

এরপর চিকিৎসক ও নার্সদের উপস্থিতিতে ওষুধ ও ইনজেকশন দেওয়া হয় সুস্মিতাকে। কিছুক্ষণ বাদে সে অচৈতন্য হয়ে আরও অসুস্থ হয়ে পরে। এরপর চিকিৎসার গাফিলতিতে মৃত্যু হয় সুস্মিতার বলে অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে মৃতার পরিবার প্রতিবাদ জানায়। মৃতার কাকা অবিনাশ রায় বলেন, “আমার ভাস্তিকে গর্ভবতী অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বৃহস্পতিবার ডেলিভারি হওয়ার কথা ছিল। হাসপাতালে আনার পর ওষুধ খাওয়ানো হয় ও ইনজেকশন দেওয়ার পরেই অসুস্থ হয়ে পরে। পরে জানানো হয় মারা গিয়েছে। চিকিৎসার গাফিলতিতে মৃত্যু।” এদিকে মৃতার বাবা সুশিল রায় বলেন, “মেয়েকে গর্ভবতী অবস্থায় ভর্তি করানোর পরেই অসুস্থ বোধ করে। চিকিৎসক নার্স থাকা সত্যেও মেয়ের কোনও চিকিৎসা হয়নি। পরে মারা যায় মেয়ে। মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের দাবি জানাই এই কারণে কোতোয়ালি থানা ও স্বাস্থ্য দফতরে অভিযোগ জানিয়েছি।” স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কি কারণে মৃত্যু হয়েছে মহিলার তদন্ত করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।