পুজো শেষ হলেও কমছে না সবজির দাম; সমস্যায় ক্রেতারা; বাজার পরিদর্শনে প্রশাসন

জলপাইগুড়ি : আদা ১২০ টাকা, পেয়াজ ৮০- ১০০ টাকা, লঙ্কা ১০০- ১২০ টাকা,টমেটো ৮০ টাকা, ফুলকপি ৬০- ৮০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০- ৬০ টাকা, আলু ৪০ টাকা কেজি। পুজো কাটিয়ে রবিবার বাজার করতে এসে সবজির দাম শুনে ক্রেতাদের কপালে এই হালকা শীতের সকালেও ঘাম দেখা দিচ্ছে। বেশির ভাগ সবজিই সেঞ্চুরি করার পথে, কেউ কেউ আবার ইতিমধ্যে সেঞ্চুরি করে ফেলেছে। জলপাইগুড়ি ইন্দিরাগান্ধী কলোনি বাজার, দিনবাজার, বয়েলখানা বাজার, স্টেশন বাজার সহ বিভিন্ন বাজারে সবজি সহ বিভিন্ন জিনিসের দাম অনেকটাই বেশি। নভেম্বরে হালকা শীত পড়লেও সেভাবে শীতের সবজি দেখা না মেলায় সবজির দাম বেশি বলে বক্তব্য বিক্রেতাদের। চরম সমস্যায় সাধারণ মানুষ। প্রশাসনের আধিকারিকরা মাঝে মধ্যে বাজার পরিদর্শন করলেও কিছুক্ষণের জন্য কিছু দাম কমলেও চলে গেলে আবার যে কে সেই দাম বেশি বলে অভিযোগ করতে শুরু করেছে ক্রেতারা। রবিবারও টাস্ক ফোর্স এর লোকেরা পরিদর্শন করলেন জলপাইগুড়ি দিনবাজার। এদিন সকাল ৯ টার পর সদর মহকুমা শাসক তমোজিত চক্রবর্তী, এগ্রি মার্কেটিং, পুলিশ বাহিনী ও অন্যান্য দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে আলু সহ বিভিন্ন জিনিসের দাম নিয়ে কথা বলেন বিক্রেতাদের সাথে। কি কারণে দাম এত বেশি সেটাই খতিয়ে দেখছেন তারা। মহকুমা শাসক খুচরা এবং হোলসেল বাজারে গিয়ে আলু পেঁয়াজের দাম সহ বিভিন্ন জিনিসের দাম বিলপত্র খতিয়ে দেখেন।

দুর্গাপূজা, কালীপূজা, ভাইফোঁটা ও ছটপুজো শেষ হলেও আজ রবিবার জিনিসের দাম অনেকটাই বেশি। তবে এরজন্য আবহাওয়ার খালখেয়ামিপনাকেই দায়ী করছেন বিক্রেতারা। তাদের মতে, শীতের মরশুম, কিন্তু কুয়াশার সেভাবে দেখা নেই, সূর্য উঠতেই রোদের তেজ বাড়ছে। সবজির ক্ষেত্রে এই আবহাওয়া সঠিক নয়। সেকারণেই সবজির ফলন কম। বেশি টাকা দিয়ে অল্প সবজি কিনে বাজারে এনে বিক্রি করতে হচ্ছে। আর এসব কারণেই ক্রেতাদের কাছে সবজির দাম বেশি মনে হচ্ছে বলে জানান বিক্রেতারা।

ক্রেতারাও সবজির দাম বেশি হওয়ায় সমস্যায়। তারা চাইছেন প্রশাসন এ বিষয়ে কড়া নজরদারি করুক যাতে সবজির দাম আয়ত্তের মধ্যে থাকে সকলের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *