অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ ২০২৪ : ফাইনালে ভারত-বাংলাদেশের মহারণ

পিনাকী রঞ্জন পাল : আজ দুবাইয়ের ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের শিরোপা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে মাঠে নামবে ভারতীয় যুব ক্রিকেট দল। তবে তাদের প্রতিপক্ষ সহজ নয়। সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে হেলায় হারিয়ে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থাকা বাংলাদেশ দল এবার তাদের ট্রফি ধরে রাখতে মরিয়া।

এশিয়া কাপের ইতিহাসে ভারতের আধিপত্য প্রশ্নাতীত। ১০ বার এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে, যার মধ্যে ৭ বারই শিরোপা ঘরে তুলেছে ভারত। এবার তাদের লক্ষ্য অষ্টম শিরোপা। অন্যদিকে, ২০২২ সালের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশও নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে প্রস্তুত।

সেমিফাইনালে ভারতের পারফরম্যান্স ছিল চমকপ্রদ। শ্রীলঙ্কাকে মাত্র ৭ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছেছে তারা। ওপেনার বৈভব সূর্যবংশীর দুরন্ত ব্যাটিং এবং বোলারদের নির্ভুল লাইন-লেংথ শ্রীলঙ্কার জন্য ছিল অপ্রতিরোধ্য। অন্যদিকে, বাংলাদেশ দল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয়ের মাধ্যমে দেখিয়েছে তাদের লড়াই করার মানসিকতা। পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী দলকে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে তারা ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে।

ভারতের বর্তমান দলের শক্তি তাদের দলগত পারফরম্যান্স। তবে টুর্নামেন্ট জুড়ে কয়েকজন খেলোয়াড় আলাদা করে নজর কেড়েছেন। তাদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈভব সূর্যবংশী। মাত্র ১৩ বছর বয়সে সে ক্রিকেট জগতে রীতিমতো আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ফাইনালে তার ব্যাটিং পারফরম্যান্স ভারতীয় দলের জন্য বড় ভরসা হতে পারে।

ব্যাট হাতে আয়ুশ মাত্রও দেখিয়েছে নিজের কার্যকারিতা। টুর্নামেন্ট জুড়ে তার ধারাবাহিক রান সংগ্রহ দলকে কঠিন পরিস্থিতি থেকে রক্ষা করেছে।

এ ছাড়াও ভারতের বোলিং লাইনআপে রয়েছে দুই তরুণ তারকা—চেতন শর্মা এবং বাংলার যুধাজিৎ গুহ। যুধাজিৎ ইতিমধ্যেই ৬ উইকেট নিয়ে দলের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। তার বিষাক্ত লেংথ ডেলিভারি এবং জুটি ভাঙার দক্ষতা নিয়ে ময়দানে এখন একটাই কথা: “জুটি ভাঙতে যুধাজিতের জুরি নেই।”

বাংলাদেশ দলও কম যায় না। তাদের দলে আছে একাধিক ম্যাচ উইনার, যারা যেকোনো সময় ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে সক্ষম। বিশেষত ফাইনালের মতো বড় মঞ্চে তাদের পারফরম্যান্সই হবে নির্ণায়ক।

ফাইনালের মঞ্চে দুই দলের লড়াই কেবল শিরোপার জন্য নয়, বরং যুব ক্রিকেটে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের। ভারত এবং বাংলাদেশের যুব ক্রিকেটের ইতিহাসে এই ম্যাচ আরেকটি নতুন অধ্যায় যোগ করবে।

আজকের ম্যাচ ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে। দুবাইয়ের স্টেডিয়াম ইতিমধ্যেই দর্শকদের উন্মাদনায় ভরপুর। ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে দশটা থেকে শুরু হবে ম্যাচ। দুই দলই প্রস্তুত তাদের সর্বস্ব দিয়ে লড়াই করার জন্য। এখন দেখার, এশিয়া কাপের মুকুট কার মাথায় ওঠে—ভারতের অষ্টম জয়, নাকি বাংলাদেশের শিরোপা ধরে রাখার নতুন কাহিনি!

ছবিটি AI এর মাধ্যমে তৈরি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *