জলপাইগুড়ি : স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে ছয় বছর পর স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দিল জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের অ্যাডিশনাল থার্ড কোর্ট। মঙ্গলবার বিচারক বিপ্লব রায় অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে এই রায় ঘোষণা করেন।
২০১৯ সালের ১৯ এপ্রিল জলপাইগুড়ি জেলার ভক্তিনগর থানা এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে ঘটে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড। সহকারী সরকারি আইনজীবী বরেন্দ্রনাথ রায়ের তথ্য অনুযায়ী, অভিযুক্ত পেশায় ডেকোরেটরের কাজ করত এবং তার স্ত্রীর প্রতি সন্দেহ পোষণ করত। সন্দেহের বশে স্ত্রীকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করার পর দড়ি এবং ইট ব্যবহার করে মৃতদেহের হাত-পা বাঁধে এবং সেফটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেয়।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (খুন) ও ২০১ (প্রমাণ লোপাট) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।
মামলাটির তদন্ত ও বিচারপ্রক্রিয়ায় ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত এই চূড়ান্ত রায় প্রদান করেছে।
সহকারী সরকারি আইনজীবী বরেন্দ্রনাথ রায় বলেন, “অভিযুক্ত তার স্ত্রীর প্রতি সন্দেহের কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়। সমস্ত প্রমাণ ও সাক্ষ্য বিশ্লেষণ করে বিচারক অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।”
এই রায় সমাজে নারী নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হয়ে থাকবে। অভিযুক্তের শাস্তির মাধ্যমে আদালত নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা প্রদান করেছে।