আলিপুরদুয়ারে শুরু হতে চলেছে ১৯তম বিশ্ব ডুয়ার্স উৎসব; প্রস্তুতি তুঙ্গে

আলিপুরদুয়ার : আলিপুরদুয়ারের অন্যতম বড় সাংস্কৃতিক ও পর্যটন উৎসব, বিশ্ব ডুয়ার্স উৎসব, আগামী ২ জানুয়ারি থেকে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে শনিবার জাঁকজমকভাবে আয়োজন করা হলো খুঁটিপুজো। বিশ্ব ডুয়ার্স উৎসব কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এই পুজোয় উপস্থিত ছিলেন কমিটির সাধারণ সম্পাদক তথা প্রাক্তন বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী, জয়গা ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান গঙ্গা প্রসাদ শর্মা, মাদারিহাট বিধানসভার নব নির্বাচিত বিধায়ক জয় প্রকাশ টোপ্পো, মৃদুল গোস্বামী এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা।

২০০৫ সালে সূচনা হওয়া এই উৎসবটি ডুয়ার্সের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও পর্যটনকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরার এক উল্লেখযোগ্য প্রয়াস। বর্তমানে এটি শুধুমাত্র আলিপুরদুয়ার বা পশ্চিমবঙ্গ নয়, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটক ও শিল্পীদের মিলনক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। প্রতি বছর ১০-১২ লক্ষ মানুষের উপস্থিতিতে উৎসবটি এক বিশাল আকার ধারণ করে।

ডুয়ার্সের সংস্কৃতি, প্রকৃতি এবং ঐতিহ্যকে সারা বিশ্বের কাছে পৌঁছে দেওয়াই উৎসবের প্রধান বৈশিষ্ট্য।

এবারের উৎসবে প্রায় ২ হাজার বর্ণময় স্টল নানা রকম পণ্য ও সেবার সম্ভার নিয়ে হাজির থাকবে।
থাকবে শিশু শিল্পী, লোকশিল্পী এবং দেশ-বিদেশের প্রখ্যাত শিল্পীদের অংশগ্রহনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এছাড়াও প্রতিদিন থাকবে বিশেষ আলোচনা সভা।

ডুয়ার্সের ২১টি জনজাতির ঐতিহ্য এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে তুলে ধরতে এই উৎসব বিশেষ ভূমিকা পালন করে। প্রায় আড়াই কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই উৎসবটি এক বিশাল কার্নিভালে পরিণত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ডুয়ার্স শুধু পর্যটনের মানচিত্রেই জায়গা করে নেয়নি, বরং এটি একটি সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক কেন্দ্রবিন্দুতে রূপান্তরিত হয়েছে।

বছরের পর বছর এই উৎসব মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে। ডুয়ার্সের বর্ণময় সংস্কৃতি আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সঙ্গে এই উৎসব এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এবারও লক্ষাধিক মানুষের সমাগম আশা করছেন আয়োজকরা।

ডুয়ার্সের সৌন্দর্য ও ঐতিহ্যের অনন্য রূপ দেখতে হলে এই উৎসবে আসা অবশ্যই প্রয়োজন।

বিশ্ব ডুয়ার্স উৎসব কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, “ডুয়ার্সের প্রকৃতি, সংস্কৃতি এবং মানুষকে বিশ্ব মঞ্চে তুলে ধরাই আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য। এই উৎসবটি দিনদিন আরও বড় পরিসরে রূপ নিচ্ছে এবং বিশ্বজুড়ে ডুয়ার্সকে পরিচিত করে তুলছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *