কার্তিক ভান্ডারী : আজ সাধারণ রেল যাত্রীদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী, রেলমন্ত্রী, ইস্টার্ন রেলওয়ে জেনারেল ম্যানেজার, হাওড়া ও শিয়ালদা ডিআরএম এবং লাভপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজারের কাছে একটি দাবি পত্র জমা দেওয়া হয়। মূল বিষয় ছিল আহমদপুর-কাটোয়া রেলপথ দিয়ে কলকাতা যাওয়া ও আসার জন্য ট্রেন পরিষেবার বৃদ্ধি।

মূল দাবি: সকাল ও সন্ধ্যার দিকে রামপুরহাট জংশন থেকে হাওড়া ও শিয়ালদা যাওয়ার জন্য ছয় জোড়া ট্রেন চালানো। প্রস্তাবিত রুট: রামপুরহাট → আহমদপুর → লাভপুর → জ্ঞানদাস → কান্দ্র → কাটোয়া → নবদ্বীপ ধাম → ব্যান্ডেল → হাওড়া
অথবা রামপুরহাট → আহমদপুর → লাভপুর → কাটোয়া → নবদ্বীপ ধাম → নৈহাটি → দমদম → শিয়ালদা।

বৈঠকের প্রেক্ষাপট: আহমদপুর-কাটোয়া রেলপথ থাকা সত্ত্বেও যাত্রীদের ২০-৩০ কিমি দূরে গিয়ে ট্রেন ধরতে হচ্ছে। রাত্রি ৩টা থেকে প্রস্তুতি নিয়ে বোলপুর শান্তিনিকেতন বা কাটোয়া জংশনে যেতে হয়। এই এলাকায় রেল পরিষেবার উন্নতিতে বারবার আবেদন সত্ত্বেও কোনো স্থায়ী সমাধান মেলেনি।
এর আগে পুজোর সময় শিয়ালদা-কাটোয়া ট্রেনের (নম্বর 31111/31112) আহমদপুর পর্যন্ত এক্সটেনশনের কথা হয়েছিল, কিন্তু তা আজও কার্যকর হয়নি।

অন্য দাবিগুলি:
- আহমদপুর রেলওয়ে স্টেশনকে “অমৃত ভারত প্রকল্প”-এর আওতায় আনা।
- আহমদপুর-কাটোয়া রুটে ২৪ ঘণ্টা স্টাফ নিয়োগ। করোনা পূর্ববর্তী সময়ে এই ব্যবস্থা চালু ছিল। বর্তমানে মাত্র ৮ ঘণ্টা স্টাফ কাজ করছেন।

আবেদনে উপস্থিত: আহমদপুর-কাটোয়া প্যাসেঞ্জার এসোসিয়েশনের তরফে উপস্থিত ছিলেন রাহুল মণ্ডল, সুবীর সেন, হিমাদ্রি ঘোষ, গৌতম হাটি, গোপাল দাস, ও লেখক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়। আরও অনেক রেলযাত্রী এই দাবিতে অংশগ্রহণ করেন।
রেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে দ্রুত ইতিবাচক পদক্ষেপের আশা করছেন এলাকার মানুষ।