জলপাইগুড়ি : মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জলপাইগুড়ি শহরের বাবুপাড়ার এক ভবনে বিশেষ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ছড়াকার মোহিত ঘোষের জন্ম শতবার্ষিকী স্মারক গ্রন্থ প্রকাশিত হল। জলপাইগুড়ির প্রথম রাষ্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত এই কবিকে স্মরণ করে কিরাতভূমি পত্রিকার উদ্যোগে প্রকাশিত হয়েছে এই স্মারক সংখ্যা।
স্মারক গ্রন্থটি প্রকাশ করেন জলপাইগুড়ি সদর মহকুমা শাসক তমোজিৎ চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ধূপগুড়ি সুকান্ত মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ড. নীলাংশু শেখর দাস, কিরাতভূমি পত্রিকার সভাপতি ড. আনন্দ গোপাল ঘোষ, ড. শীলা দত্ত ঘটক, অশোক গাঙ্গুলি এবং অন্যান্যরা।
এই স্মারক সংখ্যা মোহিত ঘোষের সাহিত্য জীবন এবং কৃতিত্বের উপর পূর্ণাঙ্গ দলিল হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে। কিরাতভূমি পত্রিকার সম্পাদক সুমন রায় বলেন, “এটি কবি মোহিত ঘোষের জীবন ও কাজের উপর একটি পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ। এর মাধ্যমে আগামী প্রজন্ম মোহিত ঘোষের সাহিত্যকীর্তি সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবে।”
অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন গৌতমেন্দু নন্দী। স্মারক গ্রন্থ প্রকাশের এই উদ্যোগকে সকলেই সাধুবাদ জানান। কবি মোহিত ঘোষের ছড়া, কবিতা এবং সাহিত্যকর্ম জলপাইগুড়ির সাহিত্যের ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধ করেছে।
অনুষ্ঠানে ড. নীলাংশু শেখর দাস বলেন, “মোহিত ঘোষ শুধুমাত্র জলপাইগুড়ির নয়, বাংলার সাহিত্য জগতে একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাঁর সাহিত্য সৃষ্টিকে নতুনভাবে তুলে ধরার জন্য কিরাতভূমির এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়।”
কিরাতভূমির সভাপতি ড. আনন্দ গোপাল ঘোষ বলেন, “মোহিত ঘোষের সাহিত্যকর্ম আমাদের সাংস্কৃতিক সম্পদ। এই স্মারক গ্রন্থের মাধ্যমে তাঁর সাহিত্যকীর্তি নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।”
কবি মোহিত ঘোষের জন্ম শতবার্ষিকী স্মরণে প্রকাশিত এই স্মারক গ্রন্থটি জলপাইগুড়ির সাহিত্য জগতে একটি নতুন সংযোজন। স্মারক সংখ্যাটি শুধুমাত্র একটি স্মরণিকা নয়, বরং তা মোহিত ঘোষের সাহিত্যকীর্তি এবং তার ভাবনার গভীরতাকে তুলে ধরার এক মূল্যবান প্রয়াস। অনুষ্ঠানটি জলপাইগুড়ির সাহিত্যপ্রেমীদের কাছে এক স্মরণীয় সন্ধ্যা হয়ে থাকবে।