ডিজিটাল ডেস্ক : ব্রিটেনের আলোচিত ‘অনলি ফ্যানস’ তারকা লিলি ফিলিপসের সাহসী এবং বিতর্কিত ঘোষণা নতুন করে হইচই ফেলে দিয়েছে। ২৩ বছর বয়সি এই তারকা জানিয়েছেন, তিনি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১,০০০ জন পুরুষের সঙ্গে সঙ্গম করে বিশ্বরেকর্ড গড়তে চান। প্রস্তুতি পর্ব হিসেবে তিনি সম্প্রতি একদিনে ১০১ জন পুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন এবং অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন।
বিদেশি গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লিলি জানান, প্রথমে এই চ্যালেঞ্জ নিয়ে তিনি দারুণ উত্তেজিত ছিলেন। তবে বাস্তবে কাজটি যে কতটা শারীরিক ও মানসিকভাবে কষ্টকর, তা তিনি টের পেয়েছেন। “৪০তম ব্যক্তির সঙ্গে সঙ্গম করার সময় তীব্র ব্যথা অনুভব করি। ক্লান্তি এবং যন্ত্রণা এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল যে, মনে হয়েছিল, আমি আর পারব না। এই ধরনের চ্যালেঞ্জ দুর্বলচিত্ত মানুষের জন্য নয়,” বলেন লিলি।
নিজের অভিজ্ঞতা থেকে লিলি জানান, এমন চ্যালেঞ্জ নিতে অন্যদের তিনি কখনোই উৎসাহ দেবেন না। “আমি যে শারীরিক ও মানসিক ধকল পার করেছি, তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। কয়েকজনকে তাড়াতাড়ি বিদায় জানাতে খারাপ লেগেছে। একসময় বুঝতেই পারছিলাম না, কতজনের সঙ্গে সঙ্গম করেছি।”
লিলির লক্ষ্য ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১,০০০ জন পুরুষের সঙ্গে সঙ্গম করার। এই ইভেন্টকে তিনি নাম দিয়েছেন ‘রেকর্ড ব্রেকিং ইভেন্ট অফ দ্য ইয়ার’। ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশের পুরুষদের কাছ থেকে ইমেলের মাধ্যমে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে। আবেদনকারীদের মধ্য থেকে ১,০০০ যোগ্য প্রার্থীকে বেছে নেওয়া হবে।
লিলি নিজেও বিশেষ প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন এবং নিজের শরীর ও মনকে প্রস্তুত করছেন এই চ্যালেঞ্জের জন্য।
বর্তমানে এক দিনে সবচেয়ে বেশি পুরুষের সঙ্গে সঙ্গমের বিশ্বরেকর্ড রয়েছে পর্নতারকা লিসা স্পার্কসের নামে। ২০০৪ সালে পোল্যান্ডে আয়োজিত এক ইভেন্টে তিনি ৯১৯ জন পুরুষের সঙ্গে সঙ্গম করেন। এই রেকর্ড ভাঙার প্রচেষ্টায় এখন শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতি নিচ্ছেন লিলি।
লিলির এই উদ্যোগ একদিকে তাকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এনেছে, অন্যদিকে ব্যাপক সমালোচনার মুখেও ফেলেছে। তবে তার মতে, এটি একটি ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত, এবং তিনি এতে নিজেকে আত্মবিশ্বাসী ও স্বাধীন মনে করছেন।
লিলির এই ঘোষণা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকেই তার সিদ্ধান্তকে সাহসী বলছেন, আবার কেউ কেউ একে অযৌক্তিক এবং অস্বাস্থ্যকর বলে সমালোচনা করছেন। তবে লিলি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এই উদ্যোগ তার জীবনের স্বাধীনতার প্রতীক।
বিশ্বরেকর্ড ভাঙার এই প্রচেষ্টা সফল হবে কি না, তা সময়ই বলবে। তবে লিলির সাহস ও আত্মপ্রত্যয় তাকে ইতিমধ্যেই আলোচনার শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছে।
ছবি সংগৃহীত