বিশ্বজিৎ নাথ : হারিয়ে যাওয়া লোকশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে আজ থেকে ২৫ বছর আগে উদ্যোগী হয়েছিল শ্যামনগর লোকসংস্কৃতি মঞ্চ। যার অন্যতম কর্ণধার প্রখ্যাত লোকশিল্পী অমল বাওয়ালি। উৎসব শুরুর প্রথম দিকে অমল বাবুকে অনেক টিপ্পনিও শুনতে হয়েছিল। যদিও পরবর্তীতে তাঁকে দেখে অনেকেই বাউল উৎসব শুরু করেন। বৃহস্পতিবার রাতে শ্যামনগর ঋষি অরবিন্দ বিদ্যা নিকেতনের মাঠে আয়োজিত সারা বাংলা বাউল ফকির উৎসবের রজত জয়ন্তী বর্ষের শুভ সূচনা করলেন প্রখ্যাত লোকশিল্পী ভজন দাস বৈরাগ্য। হাজির ছিলেন নৈহাটি বঙ্কিম ভবন গবেষণা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ রতন কুমার নন্দী-সহ বিশিষ্ট জনেরা। বাউল ফকির উৎসবের অন্যতম উদ্যোক্তা লোকশিল্পী অমল বাওয়ালি বলেন, লোকশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগরে আজ থেকে ২৫ বছর আগে তিনি বাউল মেলার আয়োজন করেছিলেন।

এখনও উৎসবের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। যদিও একটা সময় অনেকেই বাউল উৎসব নিয়ে টিপ্পনি করেছিলেন। এখন তাঁরাই আবার বাউল উৎসব মজেছেন। এখানেই তাঁর উৎসবের সফলতা। অপরদিকে শিল্পী গৌতম পালের কথায়, লোকসঙ্গীতকে বাঁচিয়ে রাখতে বাউল ফকির উৎসবের উদ্যোগ নিয়ে নিয়েছিলেন শ্যামনগরের বাসিন্দা লোকশিল্পী অমল বাওয়ালী। তাঁর হাত ধরেই উৎসবের মঞ্চ থেকেই আজ অনেক অখ্যাত শিল্পী প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। সম্ভবতঃ এটাই বাউল ফকির উৎসবের সার্থকতা।
