জলপাইগুড়ি : জলপাইগুড়ি শহরের যানজট সমস্যা নিরসনে ফের উদ্যোগী হল পুরসভা। শুক্রবার মার্চেন্ট রোডের একাধিক জায়গা চিহ্নিত করে ‘পেইড পার্কিং জোন’ ঘোষণা করা হয়। উপস্থিত ছিলেন উপ পুরপিতা সৈকত চ্যাটার্জি, ডিএসপি (ট্রাফিক) অরিন্দম পাল চৌধুরী, ট্রাফিক আইসি অমিতাভ দাস সহ অন্যান্য পুর আধিকারিকরা।
জলপাইগুড়ি পুরসভা এর আগেও থানা মোড় থেকে মার্চেন্ট রোডের একটি অংশে ‘পেইড পার্কিং জোন’ চালু করার উদ্যোগ নিয়েছিল। প্রতি ঘণ্টায় বাইকের জন্য ৫ টাকা এবং সাইকেলের জন্য ২ টাকা নির্ধারিত হয়েছিল। তবে বিতর্ক ওঠায় ৬ জানুয়ারি বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, পরিকল্পনা পুনরায় খতিয়ে দেখা হবে।

শুক্রবার শহরের বিভিন্ন ফাঁকা জায়গা চিহ্নিত করে পেইড পার্কিং জোন গঠন করা হয়। রাস্তার এক পাশকে পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত করা হয়েছে। অন্য পাশে নো পার্কিং বোর্ড টাঙানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সৈকত চ্যাটার্জি জানিয়েছেন, শহরের ফাঁকা জায়গার অভাবে রাস্তার একাংশকেই পার্কিং জোন হিসাবে ব্যবহার করতে হচ্ছে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এই পেইড পার্কিং জোন কার্যকর হবে।

পার্কিং ব্যবস্থার পাশাপাশি ফুটপাত দখলমুক্ত করার ওপরও জোর দিচ্ছে পুরসভা। সৈকত বলেন, “যাঁরা বাইরে থেকে এসে ব্যবসা করছেন এবং যাঁদের এখানে আধার বা ভোটার কার্ড নেই, তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হবে। ফুটপাত দখলমুক্ত করার বিষয়েও আমরা কঠোর পদক্ষেপ নেব।”
এই উদ্যোগকে শহরের যানজট ও পার্কিং সমস্যা নিরসনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকে। তবে শহরে টোটো নিয়ন্ত্রণ না করা হলে যানজট সমস্যা কতটা মিটবে তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

পুরসভার এই পদক্ষেপ শহরের যানবাহন ব্যবস্থাকে কতটা শৃঙ্খলিত করতে পারবে, তা সময়ই বলবে।