হলদিবাড়ি, ১৮ ফেব্রুয়ারি: উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় উৎসবগুলির মধ্যে অন্যতম হুজুর সাহেবের মেলা শুরু হলো কোচবিহার জেলার হলদিবাড়িতে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এই মেলাকে ঘিরে উৎসাহ-উদ্দীপনার পাশাপাশি কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা। মেলায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিসি ক্যামেরার নজরদারি এবং জরুরি পরিস্থিতির জন্য গ্রিন করিডোরের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোচবিহারের পুলিশ সুপার ধূতিমান ভট্টাচার্য।
মেলায় জনসমাগম সামলাতে একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে বিশেষ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। কোচবিহারের পুলিশ সুপার ধূতিমান ভট্টাচার্য নিজে মাজার ও মেলার আয়োজন খতিয়ে দেখেন এবং জানান, “সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে গোটা মেলা প্রাঙ্গণ নজরবন্দি থাকবে এবং জরুরি প্রয়োজনে দ্রুত উদ্ধার কার্য সম্পাদনের জন্য গ্রিন করিডোর চালু থাকবে।”

হুজুর সাহেবের মেলায় পুণ্যার্থীদের সুবিধার জন্য রেল কর্তৃপক্ষ নিউ জলপাইগুড়ি থেকে হলদিবাড়ি পর্যন্ত অতিরিক্ত এক জোড়া ডেমু প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালানোর ঘোষণা করেছে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই জলপাইগুড়ি স্টেশনে মেলাগামী ভক্তদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
সোমবার বিকেলে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মেলা কমিটির সভাপতি গদ্দিনশীন পীর সৈয়দ খন্দকার নুরুল হক (রুমি হুজুর)। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত দোকানিরা ইতিমধ্যেই তাদের পসরা সাজিয়ে বসেছেন মেলা প্রাঙ্গণে। মেলায় ধূপকাঠি, মোমবাতি জ্বালিয়ে পুণ্যার্থীরা প্রার্থনা করেন মাজার প্রাঙ্গণে।
বুধবার ইসালে সওয়াব ও দোয়ার মাধ্যমে মেলার সমাপ্তি ঘোষণা করা হবে। প্রত্যেক বছর লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয় এই মেলায়, এবছরও তার ব্যতিক্রম হবে না বলেই মনে করছেন আয়োজকরা।
এই মেলা শুধুমাত্র ধর্মীয় সমাবেশ নয়, উত্তরবঙ্গের এক গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্য এবং সম্প্রীতির প্রতীক।