জলপাইগুড়ি, ১৯ ফেব্রুয়ারি: টোটো নিয়ে লাগাতার অভিযোগ উঠলেও নিয়ন্ত্রণহীনভাবেই চলছে এই যানবাহন। বুধবার জলপাইগুড়ির নেতাজিপাড়া সংলগ্ন এলাকায় ওভারলোডের কারণে এক যাত্রীবোঝাই টোটো নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বলে অভিযোগ। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

উল্লেখ্য, আসাম থেকে ট্রেনে জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে নামার পর সাতজন যাত্রী প্রচুর ব্যাগসহ একটি টোটোতে ওঠেন। গন্তব্য ছিল কচুয়া বোয়ালমারী। কিন্তু অতিরিক্ত ওজনের কারণে চলন্ত অবস্থায় টোটোর সকার ভেঙে যায়। এরপর সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের একটি দেওয়ালে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনায় কয়েকজন আহত হলেও বড় বিপদ এড়ানো গেছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা এবং আহতদের উদ্ধারে হাত লাগান। তবে প্রশ্ন উঠছে টোটো চালকদের নিরাপত্তা বিধি না মানার বিষয়ে।
জলপাইগুড়িতে টোটোর সংখ্যা ক্রমশ বাড়লেও প্রশাসনের কোনো নজরদারি নেই। পুলিশের কাছে টোটো চালকদের পরিচয় সংক্রান্ত তথ্য নেই, ফিটনেস পরীক্ষা হয় না, এমনকি টোটোর সংখ্যা সম্পর্কেও নির্দিষ্ট কোনো হিসাব নেই। ফলে যাত্রীদের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়ছে প্রতিনিয়ত।

এর আগেও টোটো করে মাদক পাচার, ওভারলোডিং, নাবালক চালকদের গাড়ি চালানোর ঘটনা সামনে এসেছে। কিন্তু প্রশাসনের কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না। এভাবেই যদি নিয়ন্ত্রণহীনভাবে টোটো চলতে থাকে, তাহলে আর কতদিন মানুষকে দুর্ঘটনার শিকার হতে হবে? এই প্রশ্নই উঠছে সাধারণ মানুষের মুখে। প্রশাসন কি এবার টোটোর লাগাম টানবে? নাকি আরও বড়সড় দুর্ঘটনার অপেক্ষা?