জলপাইগুড়ি : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর হেনস্থার ঘটনা ঘিরে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। রবিবার জলপাইগুড়িতে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি ও বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের পাল্টা কর্মসূচিতে সরগরম হয়ে ওঠে শহর। বিক্ষোভ মিছিল ঘিরে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে বাম ছাত্র-যুবরা।

শিক্ষামন্ত্রীর ওপর হামলার অভিযোগ তুলে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির জলপাইগুড়ি জেলা শাখা কদমতলা মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। সংগঠনের জেলা সভাপতি অঞ্জন দাস বলেন, “ব্রাত্য বসু শান্তিপূর্ণভাবে সভায় যোগ দিয়েছিলেন, কিন্তু পরিকল্পিতভাবে তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়েছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”

অন্যদিকে, এসএফআই ও বাম যুব সংগঠনের উদ্যোগে একটি ধিক্কার মিছিল ডিবিসি রোডের জেলা দপ্তর থেকে শুরু হয়ে কদমতলা মোড়ের দিকে অগ্রসর হয়। তবে আগে থেকেই সেখানে তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভা চলায় পুলিশ মিছিলটি অন্য পথে ঘুরিয়ে দেয়। পরে মিছিলটি শহর পরিক্রমা করে পুনরায় কদমতলা মোড়ে ফিরে আসে।

শিক্ষামন্ত্রীর গ্রেপ্তারের দাবি তুলে কদমতলা মোড়ে ব্রাত্য বসুর কুশপুতুল দাহ করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। অভিযোগ, কুশপুতুল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ, যার ফলে বাম ছাত্র-যুবদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে বিরাট পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বাম নেতা কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, “শিক্ষামন্ত্রী নিজেই ছাত্র-যুবদের দমন করার চেষ্টা চালাচ্ছেন, ক্যাম্পাসে আতঙ্ক সৃষ্টি করছেন। আমরা এর বিরুদ্ধে রাস্তায় নামতেই পুলিশ আমাদের বাধা দিল। শিক্ষামন্ত্রীর অবিলম্বে গ্রেপ্তার চাই।”
জলপাইগুড়িতে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি এবং পুলিশের হস্তক্ষেপে রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে উঠেছে। পরবর্তী পদক্ষেপ কী হয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।