ন্যানো প্রযুক্তির প্রয়োগে চা উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কর্মশালা জলপাইগুড়িতে

জলপাইগুড়ি : মাটিতে ইউরিয়ার মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার কমিয়ে ন্যানো প্রযুক্তির মাধ্যমে কীভাবে চায়ের উৎপাদন ও গুণগত মান বৃদ্ধি করা যায়, সেই বিষয়কে কেন্দ্র করে এক বিশেষ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হলো জলপাইগুড়িতে।

রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ইফকো (ইন্ডিয়ান ফার্মার্স ফার্টিলাইজার কো-অপারেটিভ) এবং জলপাইগুড়ি জেলা ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মশালায় জেলার বিভিন্ন প্রান্তের শতাধিক ক্ষুদ্র চা চাষি ও ইফকোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে থাকা হাজার হাজার ক্ষুদ্র চা বাগানের উপর নির্ভর করে বহু মানুষের জীবিকা। শুধু জলপাইগুড়ি জেলাতেই প্রায় ২৫,০০০ ক্ষুদ্র চা বাগান রয়েছে। তবে, দীর্ঘদিন ধরে চায়ের গুণগত মান নিয়ে উদ্বিগ্ন চাষিরা।

অনেক ক্ষেত্রেই অতিরিক্ত ইউরিয়া ব্যবহার করায় মাটির উর্বরতা কমে যাচ্ছে, যার ফলে চা পাতার গুণমান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং বাজারে ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না চাষিরা।

ন্যানো ইউরিয়ার ব্যবহার কীভাবে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে পারে, তা নিয়েই মূলত আলোচনা হয় কর্মশালায়।

জেলা ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতির সম্পাদক বিজয় গোপাল চক্রবর্তী বলেন, “ন্যানো ইউরিয়ার ব্যবহার চা পাতার গুণগত মান উন্নত করবে, পাশাপাশি চাষের খরচ অনেকটাই কমবে।”

তিনি আরও জানান, আগামী এপ্রিল মাসে ইফকোর সঙ্গে সমিতির মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হবে, যা ক্ষুদ্র চা চাষিদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে।

এই কর্মশালা ক্ষুদ্র চা চাষিদের সচেতন করার পাশাপাশি চায়ের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে ও বাজারে প্রতিযোগিতামূলকভাবে টিকে থাকতে সাহায্য করবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *