চূড়াভান্ডারের ভূমিপুত্র শ্যামল রায় জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপির নতুন সভাপতি, ২০২৬ বিধানসভায় লড়াইয়ের প্রস্তুতি শুরু
জলপাইগুড়ি : দোল পূর্ণিমার দিনেই রাজ্যের একাধিক জেলায় সাংগঠনিক রদবদল আনল বিজেপি। জলপাইগুড়ি জেলার দায়িত্বে বড় পরিবর্তন এনে, জেলা সভাপতির পদে বসানো হলো চুড়াভান্ডার গ্রামের ভূমিপুত্র শ্যামল চন্দ্র রায়কে। তিনি বাপি গোস্বামীর জায়গায় দায়িত্ব নিলেন এবং ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের লড়াইয়ের ব্যাটন তাঁর হাতেই তুলে দিল দল।
শ্যামলবাবু শুধু দলের একনিষ্ঠ কর্মী নন, তিনি বিগত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির কনভেনর হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। বর্তমানে তিনি জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়ের ব্যক্তিগত সহকারী (PA) হিসেবেও কাজ করছেন। বিজেপি নেতৃত্ব মনে করছে, তাঁর অভিজ্ঞতা ও সংগঠনের ওপর দখল আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ভালো ফল এনে দিতে পারে।

এই নিয়োগ আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে, কারণ ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে চুড়াভান্ডারের মাটিতে পা রেখেছিলেন এবং জনসভা করেছিলেন। সেই গ্রামেরই ভূমিপুত্র এবার জেলার সংগঠনের দায়িত্ব পেয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সংকল্প নিয়েছেন।
দায়িত্ব নেওয়ার পরই শ্যামল রায় জানিয়ে দেন, ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতা দখল করবে। তাঁর দাবি, “এই লড়াই শুধু একটি রাজনৈতিক লড়াই নয়, বাংলার মানুষকে মুক্ত করার লড়াই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে উৎখাত করাই আমাদের লক্ষ্য। জলপাইগুড়ির আটটি বিধানসভা কেন্দ্রেই বিজেপি জয়ী হবে।”
গতকাল রাতেই তাঁর বাড়িতে দলীয় কর্মীরা জড়ো হয়ে তাঁকে সংবর্ধনা দেন। স্থানীয় বিজেপি নেতাদের মতে, শ্যামল রায়ের নেতৃত্বে সংগঠন আরও শক্তিশালী হবে এবং আগামী বিধানসভা ভোটে বিজেপি জলপাইগুড়িতে বড় সাফল্য পাবে। দলীয় কর্মীদের মধ্যে এই পরিবর্তন নিয়ে ইতিমধ্যেই উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে।
এখন দেখার, নতুন জেলা সভাপতি হিসেবে শ্যামল রায় বিজেপির সংগঠনকে কতটা মজবুত করতে পারেন এবং ২০২৬-এ রাজ্যের রাজনৈতিক সমীকরণে কতটা প্রভাব ফেলতে পারেন।