শিলিগুড়ি : চা-বাগানের সহকারী ম্যানেজার খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো শিলিগুড়ির ফাঁসিদেওয়ার বিধাননগর এলাকায়। জয়ন্তিকা চা-বাগানের সহকারী ম্যানেজার নীলাঞ্জন ভদ্রের হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বাগানের শ্রমিক সর্দার এলথ্রিয়াস এক্কা-কে।

বৃহস্পতিবার পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে এলথ্রিয়াস নিজেই স্বীকার করে যে সে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ম্যানেজারকে খুন করেছে। তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশ তার বক্তব্যকে গুরুত্ব দেয়নি। পরবর্তীতে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে সে খুনের জন্য ব্যবহৃত রক্তমাখা অস্ত্র পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এরপরেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শুক্রবার এলথ্রিয়াসকে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় সে বলে, “টাকা দিয়ে আমাকে খুন করা হতো, তাই তার আগে আমিই ম্যানেজারকে মেরে ফেলেছি।” তার এই বিস্ফোরক মন্তব্য নতুন করে রহস্য তৈরি করেছে। তদন্তকারীদের ধারণা, খুনের নেপথ্যে শ্রমিক অসন্তোষ, ব্যক্তিগত শত্রুতা বা অন্য কোনো গভীর ষড়যন্ত্র থাকতে পারে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এলথ্রিয়াসের বক্তব্য এবং তার দেওয়া তথ্যের সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে। খুনের পেছনে অন্য কোনো ষড়যন্ত্র জড়িত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া, শ্রমিক সর্দারের নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিল বলে যে দাবি উঠেছে, সেটাও তদন্তের আওতায় রাখা হয়েছে।
ঘটনাটি চা-বাগান এলাকায় তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা ও শ্রমিকরা হতবাক। পুলিশের তদন্তের ভিত্তিতে আগামী দিনে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।