জলপাইগুড়ি : কয়েকদিনের রোদ আর গরমের পর শনিবার সকাল থেকেই বদলে গেছে জলপাইগুড়ির আকাশ, যদিও শুক্রবার থেকেই এর পূর্বাভাস দেখা গিয়েছিল। ঘন কালো মেঘের আনাগোনা, বজ্রপাতের গর্জন আর বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের হাত ধরে ঠান্ডা হাওয়া বইছে জেলায়।
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, জলপাইগুড়িসহ উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় ঝোড়ো হাওয়া ও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রবল। কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, মালদা ও দক্ষিণ দিনাজপুরে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে, আর জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, কোচবিহার ও উত্তর দিনাজপুরে হলুদ সতর্কতা দেওয়া হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া বিপরীত ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে প্রচুর জলীয় বাষ্প প্রবাহিত হচ্ছে, যা বজ্রগর্ভ মেঘ সৃষ্টি করছে। এর ফলে জলপাইগুড়িতে শনিবার বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হতে পারে, সঙ্গে ৪০-৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।
শনিবার সকাল থেকেই জলপাইগুড়ির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯.৬°C, বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ৮৩% এবং গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ শূন্য থাকলেও এদিন সকাল থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে আর দুপুরের পর বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
আবহবিদরা পরামর্শ দিচ্ছেন, ঝোড়ো হাওয়া ও বজ্রপাতের সময় খোলা জায়গায় না থাকার জন্য। বিশেষত, মাঠে কাজ করা কৃষকদের নিরাপদ স্থানে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বজ্রপাত এড়াতে উঁচু গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এই পরিবর্তন দীর্ঘস্থায়ী নয়। আবহাওয়া দপ্তরের মতে, সোমবারের পর থেকে আবারও তাপমাত্রা বাড়বে, পারদ চড়বে স্বাভাবিকের ওপরে। তবে আপাতত, জলপাইগুড়ির মানুষ কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন এই হালকা শীতল পরিবেশে।
এখন দেখার, প্রকৃতির এই আচমকা পরিবর্তন জনজীবনে কতটা প্রভাব ফেলে!