জলপাইগুড়ি : আজ, ২৪শে মার্চ, বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস। এক শতাব্দীরও বেশি সময় আগে, ১৮৮২ সালের এই দিনে বিজ্ঞানী রবার্ট কক যক্ষ্মার জীবাণু আবিষ্কার করেছিলেন। সেই দিন থেকেই শুরু হয় মানবজাতির যক্ষ্মার বিরুদ্ধে লড়াই। তবে, এই লড়াই শুধু চিকিৎসার নয়, সচেতনতারও।
জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের যক্ষ্মা বিভাগ এবছর দিনটিকে স্মরণীয় করে তুলতে আয়োজন করেছে বিশেষ র্যালি। স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা ও কর্মীরা একসঙ্গে পথচলেছেন একটাই বার্তা দিতে – যক্ষ্মা নির্মূল করা সম্ভব, যদি আমরা সবাই মিলে সচেতন হই।
জেলার প্রতিটি ব্লকেও পালিত হচ্ছে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস। যক্ষ্মার বিরুদ্ধে লড়াই শুধু ওষুধে নয়, সচেতনতায়ও। “নিখরচায় চিকিৎসা ও পুষ্টি সহায়তা”- এই বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, যাতে কেউ ভুল ধারণায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার বাইরে না থাকেন।
ডা. শুভদীপ সরকারের নেতৃত্বে এবছরের কর্মসূচিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ‘জনসচেতনতা’ এবং ‘সকালেই শনাক্ত, দ্রুত আরোগ্য’ নীতিতে। যক্ষ্মা এখন আর অজেয় নয়, যদি আমরা নিয়মিত চিকিৎসা করি ও সংক্রমণ প্রতিরোধের উপায় মেনে চলি।
আজকের দিনে প্রতিজ্ঞা নেওয়া যাক –
✅ নিয়মিত চিকিৎসার মাধ্যমে যক্ষ্মামুক্ত সমাজ গড়বো।
✅ আক্রান্তদের প্রতি সহানুভূতিশীল হবো, যাতে তাঁরা লজ্জায় চিকিৎসা এড়িয়ে না যান।
✅ স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়িয়ে যক্ষ্মার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবো।
যক্ষ্মা মুক্ত ভারত গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য আমাদের একসঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ, যক্ষ্মা এখন নিরাময়যোগ্য। আসুন, একসঙ্গে বলি – “Yes! We can end TB!”