জলপাইগুড়ি : জলপাইগুড়ি শহরে অবৈধ টোটোর বিরুদ্ধে অভিযান নিয়ে পুরসভা ক্রমাগত তারিখের পর তারিখ দিয়ে চলেছে। উল্লেখ্য, প্রায় সাত মাস আগে বিগত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে শহরে টোটোর ন্যূনতম ভাড়া বৃদ্ধি করে অবৈধ টোটোর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছিল পুরসভা, কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই গ্রাম পঞ্চায়েতের টোটোচালকরা আন্দোলনে নামেন, বিভিন্ন জায়গায় পথ অবরোধ হয়। রাজনৈতিক চাপে শেষমেশ নিয়ম কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। এরপর উৎসব মরসুম শুরু হয়ে যাওয়ায় অবৈধ টোটোর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করা থেকে বিরত থাকে পুরসভা। এরপর গতমাসে পুর কর্তৃপক্ষ ট্রাফিক পুলিশ, পরিবহণ দফতর, টোটো সংগঠন, কোতোয়ালি থানার সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ২ এপ্রিল থেকে টোটো অভিযান শুরু হবে। কিন্তু সরকারি ছুটি থাকায় আজ ৩রা এপ্রিল বৃহস্পতিবার থেকে অভিযান শুরু করা হবে বলে গতকাল ঘোষণা করেছিল পুরসভা। তবে আজও শহরে অবাধে অবৈধ টোটো চলাচল করতে দেখা যায়।
এদিন এ নিয়ে জলপাইগুড়ি পুরসভার উপ পুরপিতা সৈকত চ্যাটার্জীকে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, সামনে রামনবমী ও নববর্ষ থাকায় পুলিশের অনুরোধে অভিযান আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা। তিনি বলেন, নববর্ষের পরের দিন থেকে অবৈধ টোটোর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হবে। পুরসভার দাবি, শহরের ২৫টি ওয়ার্ডের পাশাপাশি খড়িয়া, পাতকাটা, অরবিন্দ ও পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচ হাজার টোটো চালক শহরে যাতায়াত করতে পারবেন। নির্দিষ্ট এলাকার বাইরের টোটো চালকরা শহরের প্রবেশ পথ পর্যন্ত আসতে পারবেন। অভিযোগ, একাংশ টোটো চালক পুরসভার টিন অথাৎ টেম্পুয়ারি আইডিন্টি নম্বর নিজেরাই বানিয়ে টোটোয় ব্যবহার করছে। ‘ভুয়ো’ টিন ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চলছে পুরসভা এ দিন জানালেন উপ পুরপিতা সৈকত চ্যাটার্জী। তিনি বলেন, “আজ আমরা প্রস্তুত ছিলাম টোটো অভিযানের জন্য। এরজন্য সব জায়গায় প্রায় কুড়িজন ভলেন্টিয়ার নিযুক্ত করা হবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু পুলিশের তরফে জানানো হয় সামনে রামনবমী ও নববর্ষের বাজার রয়েছে। এই কারণে অভিযান পিছিয়ে দেওয়া হয়। নববর্ষের পর অভিযান শুরু হবে। সেইসাথে তিনি জানান, টোটো ভাড়া খুচরোর অজুহাত দেখিয়ে পনেরো টাকার বেশি নেওয়া যাবে না। পুরসভার যদি চায় জরিমানা করতে পারবে ওই টোটো চালককে।”