জলপাইগুড়ি : শিক্ষাক্ষেত্রে এক ধাক্কায় ২৬ হাজার চাকরি চলে যাওয়ার দায় কার? এই প্রশ্ন তুলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে শুক্রবার পথে নামল জেলা কংগ্রেস। জলপাইগুড়ির রাজীব ভবন থেকে শুরু হয়ে শহরের কদমতলা মোড়ে পথ অবরোধ পর্যন্ত টানা কর্মসূচি চালায় তারা।
শুধু চাকরি হারানো নয়, সংসদে সদ্য পাশ হওয়া নতুন ওয়াকফ আইন বাতিলের দাবিও তোলে কংগ্রেস। জেলা কংগ্রেস সভাপতি পিনাকী সেনগুপ্ত, টাউন ব্লক সভাপতি অম্লান মুন্সী-সহ দলের একাধিক নেতা-কর্মী পা মেলান প্রতিবাদ মিছিলে।

কদমতলা মোড়ে কিছু সময়ের জন্য পথ অবরোধ করেন কংগ্রেস কর্মীরা। স্লোগানে সরব হয় গোটা চত্বর। এদিনের কর্মসূচিতে পিনাকী সেনগুপ্ত কটাক্ষ করেন, “একদিকে যখন শিক্ষাক্ষেত্রে মহাসংকট, তখন শহরের অন্য প্রান্তে তৃণমূল মিছিল করছে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। নিজেদের গা বাঁচাতেই ওদের এই নাটক।”
প্রসঙ্গত, একই দিনে ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি-র প্রতিবাদে মিছিল করে টাউন ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কমিটিও। দুটি মিছিল মুখোমুখি না হলেও, ডিবিসি রোডে কাছাকাছি সময় অতিক্রম করে—সেই দৃশ্য যেন রাজনৈতিক উত্তেজনার প্রতীক হয়ে রইল।

এ দিনের কর্মসূচি থেকে জেলা কংগ্রেস সভাপতি পিনাকি সেনগুপ্ত বলেন, “জেলের ভিতরে চাকরি দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত মন্ত্রীদের বাঁচানোর জন্য আমার আপনার পয়সায় কেস লড়াই করা হচ্ছে৷ বিভিন্নভাবে লড়াই করতে করতে এখন ২০১৬ সালের এসএসসি যারা চাকরি পেয়েছিলেন সবার চাকরি বাতিল করেছে মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট। আমরা দীর্ঘদিন থেকে অভিযোগ করছি পশ্চিমবঙ্গে চাকরি চুরি হয় এটা তারই নমুনা। আমরা চাকরি চুরির দায় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি করছি সেই নিয়েই আজকের আন্দোলন।”
রাজ্য রাজনীতির উত্তাপ এবার সরাসরি জলপাইগুড়ির রাজপথে। আর কংগ্রেসের দাবি একটাই—শিক্ষা নিয়ে এই চরম বিশৃঙ্খলার দায় নিয়ে পদত্যাগ করুন মুখ্যমন্ত্রী।