স্পোর্টস ডেস্ক : ২০১৫ সালের পর ফের একবার ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে হারিয়ে ইতিহাস গড়ল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। আইপিএলের হাইভোল্টেজ ম্যাচে মুম্বইয়ের ঘরের মাঠে ১২ রানে জয় তুলে নিল বিরাট কোহলিরা।
প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২২১ রানের বিশাল স্কোর তোলে বেঙ্গালুরু। জবাবে মুম্বই থেমে যায় ২০৯ রানে। ব্যাটে-বলে উত্তেজনার রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচে শেষ হাসি হাসলেন কোহলিরা।
ব্যাটিং উদ্বোধনে ব্যর্থ ফিল সল্ট (৪)। কিন্তু তাতেও ছন্দপতন হয়নি। এক প্রান্ত ধরে রেখে ৪২ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলেন বিরাট কোহলি। সাজান ৮টি চার ও ২টি ছয়ে। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন দেবদত্ত পাড়িক্কল (২২ বলে ৩৭) ও অধিনায়ক রজত পাতিদার, যিনি মাত্র ৩২ বলে খেলেন বিধ্বংসী ৬৪ রানের ইনিংস (৫টি চার, ৪টি ছয়)। শেষের দিকে ঝড় তোলেন জিতেশ শর্মা – ১৯ বলে অপরাজিত ৪০ (২ চার, ৪ ছয়)।
মুম্বইয়ের হয়ে ২টি করে উইকেট পান হার্দিক পাণ্ড্য ও ট্রেন্ট বোল্ট। তবে বোল্ট ৪ ওভারে খরচ করেন ৫৭ রান। বুমরাহ উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে দেন মাত্র ২৯ রান – চোট কাটিয়ে ফিরে চেনা ছন্দেই বল করেন তিনি।
২২২ রানের বিশাল লক্ষ্যে নামা মুম্বইয়ের শুরুতেই ধাক্কা দেন যশ দয়াল। মাত্র ৯ বলে ১৭ রান করে ফিরিয়ে দেন রোহিত শর্মাকে। এরপর সূর্যকুমার যাদবও পারেননি আশার আলো দেখাতে – ২৬ বলে ২৮ রান করেই তিনিও আউট।
মুম্বইয়ের হাল ধরার চেষ্টা করেন হার্দিক (১৫ বলে ৪২ রান, ৩ চার, ৪ ছয়) এবং তিলক বর্মা (২৯ বলে ৫৬, ৪ চার, ৪ ছয়)। কিন্তু শেষ তিন ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ হাতছাড়া করে দেন তাঁরা।
দু’ছক্কা খাওয়া সত্ত্বেও ম্যাচের শেষ মুহূর্তে ৪৫ রানে ৪ উইকেট তুলে নেন ক্রুণাল পাণ্ড্য – এবং ভাই হার্দিকের মুখ থেকে হাসি কেড়ে নেন!
ওয়াংখেড়ে-র মাটিতে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে শেষ জয় এসেছিল ২০১৫ সালে। সোমবারের জয় নিয়ে এই মাঠে বেঙ্গালুরুর তৃতীয় জয়। কোহলিদের কাছে এক ঐতিহাসিক রাত।