নিউজ ডেস্ক : আশার আলো দেখছেন রাজ্যের পার্শ্ব-শিক্ষকেরা। হয়তো খুব শিগগিরই বদলে যেতে পারে তাঁদের জীবনের সমীকরণ। দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য সম্মানী ও সুরক্ষিত পেশাগত ভবিষ্যতের দাবি জানিয়ে আসা পার্শ্ব-শিক্ষকদের জন্য এবার বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রের খবর, পার্শ্ব-শিক্ষকদের মাসিক বেতন তিনগুণ বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে অর্থ দফতরে।
বর্তমানে যেখানে মাসে প্রায় ১৩,০০০ টাকা বেতন পান তাঁরা, সেখানে সেটি বেড়ে হতে পারে প্রায় ৩৯,০০০ টাকা। শুধু তাই নয়, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর চাকরি হারানো অনেক ‘যোগ্য’ প্রার্থীকে পার্শ্ব-শিক্ষক হিসেবে নতুন করে নিয়োগ করার ভাবনাও চলছে। ভোটের মুখে সরকার এমন এক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, যা শুধু প্রশাসনিক নয়, মানবিকতার পরিচয়ও বহন করে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পষ্ট বার্তা, “আমি বেঁচে থাকতে কারও চাকরি যেতে দেব না।” এই বার্তার প্রতিধ্বনি মিলেছিল নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামের বৈঠকেও। সেখানে তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন, ‘যোগ্য’দের পাশে থাকবেন তিনি। সেই কথাই যেন আজ বাস্তবে রূপ নিচ্ছে।
তবে সবকিছু এখনও প্রস্তাব পর্যায়েই রয়েছে। আদালতের রায় এবং তার ব্যাখ্যার দিকে নজর রেখে তবেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চায় রাজ্য। ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে গঠিত হয়েছে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি—যারা বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনি ও আর্থিক দিক থেকে পরিকল্পনার রূপরেখা তৈরি করবে।
এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে শিক্ষাক্ষেত্রে যেমন নতুন দিগন্ত খুলবে, তেমনই সরকারি কোষাগারের উপর বাড়তি চাপও পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে সরকার মনে করছে, এই মুহূর্তে মানবিক সমাধানই সবচেয়ে জরুরি।
পাশাপাশি এও উঠে আসছে, নতুন নিয়োগ হলে তা যেন স্বচ্ছ, মেধাভিত্তিক ও আইনি বাধাবিপত্তি ছাড়াই হয়। যাতে ভবিষ্যতে আবার আইনি জটিলতায় না পড়তে হয় সরকারকে।
এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। কত দ্রুত রাজ্য সরকার এই প্রস্তাব কার্যকর করতে পারে এবং কতটা মানবিক দৃষ্টিতে বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়—তার দিকেই তাকিয়ে গোটা রাজ্যের হাজার হাজার পার্শ্ব-শিক্ষক।
সংবাদ সূত্র : আনন্দবাজার।