স্পোর্টস ডেস্ক : এক রান আউট বদলে দিল গোটা ম্যাচের ছবি। ফিল সল্টের বিদায়েই যেন রানের গতি থমকে দাঁড়াল, ছন্দ হারাল ব্যাটিং অর্ডার। আর সেই ফাঁকেই ঢুকে পড়লেন লোকেশ রাহুল। আর একবার নয়, প্রাক্তন দলের সামনে ফের নিজের জাত চেনালেন তিনি। ৫৩ বলে ৯৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে একার হাতে দিল্লিকে এনে দিলেন ৬ উইকেটের দাপুটে জয়।
বেঙ্গালুরুয়েই তো আইপিএল কেরিয়ারের শুরু রাহুলের। আর সেই দলকেই চূর্ণবিচূর্ণ করলেন নিজের পুরনো মাটিতে দাঁড়িয়ে। ব্যাট হাতে প্রত্যাঘাত করে যেন বোঝালেন, তিনি এখনও কতটা প্রাসঙ্গিক, কতটা ভয়ঙ্কর।
টস জিতে ব্যাটিং নিয়েও দারুণ শুরু করেছিল আরসিবি। সল্ট নামেন ঝড় তুলতে। মাত্র ১৭ বলে ৩৭ রান তুলে নিয়েছিলেন। কিন্তু একটি ভুল বোঝাবুঝি, কোহলির হ্যাঁ-না’র ফাঁদে পা পিছলে রান আউট হন সল্ট। ব্যস, ইনিংসের মেরুদণ্ডটাই যেন ভেঙে গেল সেখানে। এরপর একে একে সাজঘরে ফিরতে থাকলেন পারিক্কল, কোহলি, লিভিংস্টোনরা।
শেষ দিকে টিম ডেভিড চেষ্টা করলেন (২০ বলে ৩৭), কিন্তু রানের পাহাড় গড়ার মতো স্কোর ওঠেনি। রজত পাটীদার (২৫) নিজের জায়গা ধরে রাখলেও সেই ইনিংসে ছিল না ধার বা গতি।
বল হাতে দিল্লির হয়ে নজর কাড়লেন কুলদীপ যাদব এবং ভিপরাজ নিগম। দু’জনেই নিলেন ২টি করে উইকেট, আটকালেন রানও। কোহলিকে ফিরিয়ে দেন নিগম।
তবে প্রকৃত গল্প লেখা হল রান তাড়ায়। ৩০ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল দিল্লি। কিন্তু হাল ধরলেন লোকেশ রাহুল। যেন ধ্বংসস্তূপ থেকে দলটাকে তুলে আনলেন। ট্রিস্টিয়ান স্টাবসকে (৩৮*) সঙ্গে নিয়ে গড়লেন ১১১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। আরসিবি বোলারদের যেভাবে ছেলেখেলার মতো খেললেন, তাতে বোঝা গেল, এখনও ঘরের মাঠ তাঁরই চেনে।
এই নিয়ে নিজেদের মাঠে আরও একবার হার দেখল আরসিবি। এবং এবারও হারাল তাদেরই এক ‘পুরনো আপনজন’। গুজরাতের হয়ে হারিয়েছিলেন সিরাজ, এবার সেই কাজটাই করলেন রাহুল।
পুরনোদের হাতে ঘায়েল হচ্ছে বেঙ্গালুরু বারবার, আর লোকেশ যেন বলে গেলেন—ঘর বদলায়, ক্লাস কখনও নয়।