জলপাইগুড়ি : এক নাবালিকাকে অপহরণ করে আটকে রেখে লাগাতার শারীরিক নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল জলপাইগুড়ির পকসো আদালত। একইসঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে অতিরিক্ত ২ মাসের জেল দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ভুক্তভোগী কিশোরীকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক রিন্টু সুর।

ঘটনার সূত্রপাত ২০২১ সালের ২৯ জানুয়ারি। ধূপগুড়ি থানায় দায়ের হওয়া অভিযোগে জানানো হয়, নাবালিকাকে ভয় দেখিয়ে অপহরণ করে তার এক আত্মীয়। দীর্ঘ সময় আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতনের জেরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে সে। পরিবার প্রথমে খোঁজ না পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। পরে মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের হলে প্রায় এক মাস পর মেয়েটিকে উদ্ধার করে পুলিশ।

বুধবার আদালতের রায়ে কিছুটা হলেও ন্যায়বিচার পেল নির্যাতিতা ও তার পরিবার। মামলার সহকারী সরকারি আইনজীবী দেবাশীষ দত্ত জানান, “১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য, ঘটনার প্রমাণ ও পেশ করা তথ্যের ভিত্তিতে আদালত এই কড়া রায় দিয়েছেন। সমাজে এমন ঘৃণ্য অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিই একমাত্র উপযুক্ত জবাব।”
এই রায় শুধু একজন অপরাধীর সাজা নয়, বরং এক নিঃশব্দ কিশোরীর আর্তনাদের প্রতি আইনের জবাব। আদালতের এই রায় সমাজকে মনে করিয়ে দিল—ন্যায় মিলতে দেরি হতে পারে, কিন্তু অন্ধকারকে চিরকাল প্রশ্রয় দেওয়া হয় না।