জলপাইগুড়ি, ২৪ এপ্রিল : নারী ও শিশু সুরক্ষায় আইনি পদক্ষেপ যে কতটা দৃঢ় হতে পারে, তা ফের একবার প্রমাণ করল জলপাইগুড়ির বিশেষ পকসো কোর্ট। ভক্তিনগর থানা এলাকায় এক নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ২০ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করলেন বিচারক রিন্টু সুর। এই মামলার রায় শুধুমাত্র অপরাধের বিরুদ্ধে শাস্তি নয়, এটি এক মানবিক বার্তা—যে সমাজের ন্যায়ের চাকা থেমে নেই।

ঘটনাটি ২০২২ সালের। প্রতিবেশী এক ব্যক্তি সুযোগ নিয়ে নাবালিকার উপর চালায় যৌন নির্যাতন। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ জানানো হলে, তদন্তে নেমে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলার শুনানিতে মোট সাতজন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। সব দিক বিবেচনা করে বিচারক অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে ২০ বছরের কঠোর কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। সেইসঙ্গে আর্থিক জরিমানা ৫০ হাজার টাকা ধার্য করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড।
সহকারী সরকারি আইনজীবী দেবাশিস দত্ত জানালেন, “এই রায় নিঃসন্দেহে একটা দৃষ্টান্ত। আদালত শুধু দোষীকে শাস্তি দেননি, ভিকটিমের ভবিষ্যতের দিকটিও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করেছেন।”
সেই মানবিক চেতনা থেকেই ভিকটিমের জন্য লিগাল সার্ভিস অথরিটির পক্ষ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এই রায় শুধু আইন নয়, সমাজের প্রতিটি মানুষের জন্য একটি বার্তা—শিশুর প্রতি কোনো রকম অপরাধের বিরুদ্ধে আইনের হাত যেমন কঠিন, তেমনি ক্ষতবিক্ষত প্রাণের পাশে দাঁড়াতেও আইন প্রস্তুত।